আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবদের নিয়ে একসঙ্গে ঈদ কাটানোর উদ্দেশ্যে শহুরে ব্যস্ততা ঘেরা পরিবেশ ছেড়ে নাড়ির টানে বাড়ি ছুটে আসে মানুষজন। ঈদের আগের রাত থেকেই শুরু হয়ে যায় শিশুদের ঈদআনন্দ।
বিকেলে বন্ধুবান্ধবের বাড়িতে যান অনেকে। গ্রামে পাড়া-প্রতিবেশীর সে আন্তরিকতা, মমতা ও ভালোবাসা শহরে কি আর খুঁজে পাওয়া যায়! আবহমানকালের সেই সামাজিক বন্ধন এখনো টিকে আছে কিছুটা। নারীরাও সন্তানদের নিয়ে এক বাড়ি থেকে আরেক বাড়ি ঘুরে বেড়ান।
ঈদের সময় বন্ধুবান্ধব ও পরিবার-পরিজন মিলে অনেকে পর্যটনকেন্দ্রে বেড়াতে যান। আনন্দঘন পরিবেশে সময় কাটানোর জন্য দেশে অনেক পর্যটন স্পট রয়েছে, যা সহজেই মানুষকে আকৃষ্ট করে। ঈদের ছুটিতে এসব এলাকায় ছুটে যান অনেকেই।
প্রায় দু’বছর পরে গ্রামে ঈদ উদযাপন করছেন একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কর্মকর্তা আব্দুস সামাদ। মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার দিলদারপুর গ্রামের এ বাসিন্দা চাকরির সুবাদে থাকেন রাজধানী ঢাকায়। কিন্তু, এবছর বাড়িতে ঈদ উদযাপন করতে পারায় তার তো বটেই, সন্তানদেরও আনন্দের কমতি নেই। দিলদারপুর শাহী ঈদগাহ ময়দানে ছোটবেলার বন্ধুদের সঙ্গে দেখা। অনেকদিন পর দেখা হওয়া বেজায় খুশি সামাদ।
ঢাকায় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন রাবেল আহমেদ। গত ঈদে গ্রামে না গেলেও ঈদুল আজহায় বাড়ি ফিরেছেন। তিনি বলেন, গ্রামের ঈদ মানেই ভ্রাতৃত্বের বন্ধন। মানুষের সঙ্গে আন্তরিকতা বাড়ানোর সুযোগ। গ্রামে ঈদ করার সত্যিই কোনো তুলনা নেই।
এ গ্রামের অনেকেই কর্মসূত্রে দেশ-বিদেশে থাকেন। শুধু ঈদের সময় ফিরে আসেন আপন নীড়ে। ছুটি শেষ হলে ফিরে যেতে হয় কর্মক্ষেত্রে। ধীরে ধীরে আবার নিস্তেজ হয়ে পড়ে গ্রামগুলো।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪০ ঘণ্টা, আগস্ট ১২, ২০১৯
টিএম/একে