তারা হলেন- বাবা আবুল হাশেম (৫৫), ছেলে জহিরুল ইসলাম (২৫) ও ভাই আব্দুর রাশেদের ছেলে আজিবুল হক (৩০)। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো দু’জন।
বুধবার (১৪ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার কাঁঠালডাঙ্গি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি/তদন্ত) জয়নাল আবেদিন বাংলানিউজকে জানান, স্থানীয় বড়হিত ইউনিয়নের কাঁঠালডাঙ্গি গ্রামের আবুল হাশেমের সঙ্গে ভাই আব্দুর রাশেদের পরিবারের জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলছিল। এরই জেরে বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দুই পক্ষ সালিশে বসে।
সালিশ চলাকালেই দু’পক্ষই আকস্মিক সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় আব্দুর রাশেদের পরিবারের ধারালো অস্ত্রের কোপে আহত জহিরুল ইসলামকে (২৫) সংকটাপন্ন অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
এ ঘটনায় আবুল হাশেম, দুই ছেলে খাইরুল, মাজাহারুল ও আজিবুল হককে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানে আবুল হাশেম (৫৫) ও ভাতিজা আজিবুল হক (৩০) মারা যান। তাদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনার পরপরই পুলিশের ময়মনসিংহ রেঞ্জের ডিআইজি নিবাস চন্দ্র মাঝি ও ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) শাহ আবিদ হোসেনসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা রামদা ও ৭টি বল্লমসহ ধারালো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
ডিআইজি নিবাস চন্দ্র মাঝি বাংলানিউজকে জানান, দুই চাচাতো ভাইয়ের মধ্যে বিরোধকে ঘিরে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি বড় হাসু উদ্ধার করা হয়েছে। আমি নিজে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্থানীয়দের তথ্য দিয়ে পুলিশকে সার্বিক সহযোগিতা করার অনুরোধ জানিয়েছি।
তিনি জানান, হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের কোনো ছাড় নেই। তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১০৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৯/আপডেট: ১৩০৭ ঘণ্টা
এমএএএম/জেডএস