মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) দিনগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে তাসলিমাকে অচেতন অবস্থায় তার স্বামী জাহাঙ্গীর আলম ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে এলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত তাসলিমা রাজবাড়ী সদর উপজেলার গার্মেন্টসের এক্সেসরিজ ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী।
বুধবার (১৪ আগস্ট) সকালে নিহত তাসলিমার স্বামী জাহাঙ্গীর আলম জানান, ঘরের কাজে সহযোগিতা করার জন্য প্রায় সাত-আট মাস আগে গ্রামের বাড়ি থেকে ৮/৯ বছরের এক শিশুকে আমার স্ত্রী বাসায় নিয়ে আসে। মঙ্গলবার রাতে ওই শিশু গৃহকর্মীকে আমার স্ত্রীর বকাঝকা দেয় ও একটু মারধর করে। শিশুটির সামনেই আমি এর প্রতিবাদ করলে আমার স্ত্রী রেগে গিয়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে দেয়। দরজার এপাশ থেকে তাকে অনেক ডাকাডাকি করলে দুই মেয়ে আমাকে সান্ত্বনা দিয়ে বলে, বাবা আম্মু রাগ করেছে, একা একা কিছুক্ষণ থাকতে দাও, ঠিক হয়ে যাবে।
‘দীর্ঘক্ষণ কোনো সাড়াশব্দ না পেয়ে দরজা ভেঙে দেখি আমার স্ত্রী ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না দিয়ে ঝুলে আছে। সেখান থেকে দ্রুত তাকে নামিয়ে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন’।
ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ (ইন্সপেক্টর) বাচ্চু মিয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১১১৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৯
এজেডএস/জেডএস