ঐতিহাসিক মুজিবনগর, বৃটিশ বেনিয়াদের আমঝুপি কুঠিবাড়ি ও ভাটপাড়া কুঠিবাড়ি (বর্তমানে ডিসি ইকো পার্ক ভাটপাড়া) ও জেলার অন্যান্য বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে মানুষের ঢল নেমেছে। মূলত ঈদের দিন থেকেই বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে দর্শনার্থীদের সমাগম শুরু হয়েছে।
ঐতিহাসিক মুজিবনগরে আসা পার্শ্ববর্তী চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদার আরমান আলী ও তার স্ত্রী নাসরিন সুলতানা জানান, এখানকার স্থাপনাগুলো মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক। তবে এখানে শিশুদের বিনোদনের জন্য তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। এছাড়া পাবলিক শৌচাগার না থাকায় নারীদের বেশ সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
আলমডাঙ্গার জামজামি গ্রাম থেকে ঘুরতে আসা যুবক ফরহাদ হোসেন, আলম হোসেন, নাহিদ হাসান ও সাজিদ রহমান জানান, তারা তিনটি নসিমনে করে প্রায় অর্ধশতাধিক যুবক এসেছি এখানে। প্রতিবারই এখানে ঘুরতে আসি। মুজিবনগরের বিশাল আম্নকাননের ছায়ায় ঘুরতে বেশ ভালোই লাগে।
সপরিবারে ঘরতে আসা কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার সাতমাইল গ্রামের আবু সালেহ জানান, পরিবার নিয়ে তিনি মুজিবনগর ছাড়াও আমঝুপি নীলকুঠি ও গাংনীর ভাটপাড়া ডিসি ইকোপার্ক ঘুরেছেন। স্ত্রী ও ছেলেকে ঐতিহাসিক স্থানগুলো ঘুরিয়ে দেখিয়েছেন। কারণ এখানে যেমনি মুক্তিযুদ্ধের গৌরবান্বিত ইতিহাস রয়েছে, তেমনি বৃটিশ বেনিয়াদের নির্মম অত্যাচারের স্মৃতিচিহ্ন রয়েছে। তাই বিনোদনপ্রেমিদের জন্য আকর্ষণের অন্যতম জায়গা ঐতিহাসিক মুজিবনগর কমপ্লেক্স, ভাটপাড়া ডিসি ইকোপার্ক ও আমঝুপি নীলকুঠি।
মুজিবনগরে বিশাল আম্নকানন ও পার্শ্ববর্তী এলাকাজুড়ে গড়ে ওঠা কমপ্লেক্সে মুক্তিযুদ্ধের সেক্টরভিত্তিক বাংলাদেশের মানচিত্র, স্মৃতিসৌধ, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন মুর্যাল, সরকারি শিশু পরিবারসহ বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে ঘুরে দেখছেন দর্শনার্থীরা।
মুজিবনগর কমপ্লেক্স পাহারায় আছেন অর্ধশতাধিক আনসার সদস্য। ঈদ-পরবর্তী অতিরিক্ত লোক সমাগমে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নজরদারি রেখেছে মুজিবনগর থানা পুলিশ।
বাংলাদেশ সময়: ০৮২২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৪, ২০১৯
ওএইচ/