পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র এ তথ্য জানায়।
সূত্র জানায়, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডে দণ্ডপ্রাপ্ত ১২ জন খুনির মধ্যে শুধু পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পালিয়ে থাকা ছয় খুনির মধ্যে রয়েছেন- নূর চৌধুরী, রাশেদ চৌধুরী, শরীফুল হক ডালিম, রিসালদার মোসলেহউদ্দিন আহমেদ, আব্দুল মাজেদ ও খন্দকার আব্দুর রশিদ। আর পালিয়ে থাকা অবস্থায় জিম্বাবুয়েতে মারা গেছেন আজিজ পাশা। এছাড়া খুনিদের মধ্যে যে পাঁচজনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে তারা হলেন- এ কে বজলুল হুদা, সৈয়দ ফারুক রহমান, সুলতান শাহরিয়ার রশীদ খান, মহিউদ্দিন আহমদ ও এ কে এম মহিউদ্দিন।
বঙ্গবন্ধুর খুনি রাশেদ চৌধুরী ও নূর চৌধুরীর অবস্থান জানতে পেরেছে সরকার। খুনি রাশেদ চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে আর খুনি নূর চৌধুরী কানাডায় অবস্থান করছেন। এই দুই খুনিকে ফিরিয়ে আনার জন্য সরকার দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা করে আসছে। তবে কানাডা ও যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী অপর দেশের কাছে কোনো মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত খুনিকে তারা হস্তান্তর করে না। তবে সরকার থেকে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে খুনি শরীফুল হক ডালিম স্পেনে অবস্থান করছেন বলে জানতে পেরেছে সরকার। তাকে স্পেন থেকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চলছে। রিসালদার মোসলেহউদ্দিন আহমেদ জার্মানিতে অবস্থানের তথ্য রয়েছে সরকারের কাছে। খন্দকার আব্দুর রশিদের অবস্থান পাকিস্তানে। আর আব্দুল মাজেদ কোথায় আছে সরকারের কাছে সে তথ্য নেই।
খুনিদের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ আব্দুল মোমেন বাংলানিউজকে বলেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ফিরিয়ে দেশে আনতে সরকার কাজ করছে। কানাডায় থাকা খুনি নূর চৌধুরী ও যুক্তরাষ্ট্রে থাকা খুনি রাশেদ চৌধুরীকে ফেরত দেওয়ার জন্য আমরা অনুরোধ করেছি। আমরা তাদের বলেছি, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্যই তাদের ফিরিয়ে দিন।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর শততম জন্মবার্ষিকীর আগেই সবাইকে না হলেও অন্তত দু’একজন খুনিকে ফিরিয়ে আনতে চাই। সে অনুযায়ী আমরা কাজ করছি।
২০২০ সালের ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শততম জন্মবার্ষিকী উদযাপিত হবে। শততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে সরকার থেকে ব্যাপক কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। আর তার আগেই খুনিদেরও ফিরিয়ে আনতে চায় সরকার।
বাংলাদেশ সময়: ০০২০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৯
টিআর/এএ