ঢাকা, সোমবার, ১০ ফাল্গুন ১৪৩১, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ২৪ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

রামগতি-কমলনগরে নদীর তীররক্ষা বাঁধের কাজ করবে সেনাবাহিনী

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯২১ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৯
রামগতি-কমলনগরে নদীর তীররক্ষা বাঁধের কাজ করবে সেনাবাহিনী বক্তব্য রাখছেন মেজর (অব.) আবদুল মান্নান

লক্ষ্মীপুর: বিকল্পধারার মহাসচিব লক্ষ্মীপুর-৪ (রামগতি-কমলনগর) আসনের এমপি মেজর (অব.) আবদুল মান্নান বলেছেন, রামগতি ও কমলনগর উপজেলার এক ইঞ্চি জমিও আর নদীতে ভাঙতে দেওয়া হবে না। ভাঙন প্রতিরোধে ৩২ কিলোমিটার তীররক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হবে। আগামী নভেম্বর থেকে বাঁধের নির্মাণকাজ শুরু হবে। ৪/৫টি পয়েন্টে সেনাবাহিনী দিয়ে ভাঙন রোধে কাজ করা হবে।

বুধবার (১৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় উপজেলার ফলকন নদী ভাঙন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ শেষে লুধূয়া ঈদগাঁ মাঠ ও হাজিরহাট বাজারে সংক্ষিপ্ত পথ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, যেকোনো মূল্যে নদী ভাঙন থেকে রামগতি-কমলনগরকে রক্ষা করা হবে।

নদীশাসন করা কঠিন কোনো কাজ নয়। সরকার ভাঙন প্রতিরোধে আন্তরিক। বিশ্বের বিভিন্ন উন্নত দেশের মতো বাংলাদেশও নদীশাসন করতে সক্ষম। ভাঙন থেকে রক্ষায় সরকার পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেবে। বর্ষা মৌসুম হওয়ায় এখন মেঘনার বিভিন্ন অংশে ভাঙন শুরু হয়েছে। সাময়িকভাবে ভাঙন ঠেকাতে কাজ চলছে। ভাঙনকবলিত স্থানে বালু ভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হচ্ছে। বর্ষা শেষেই চূড়ান্তভাবে নদীশাসনের কাজ শুরু হবে। তীররক্ষা বাঁধ নির্মাণ হবে। ভাঙন থেকে দুই উপজেলা রক্ষা পাবে। সে লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে।

পথ সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- কমলনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি একেএম নুরুল আমিন মাস্টার, তাসফিক মান্নান, অ্যাডভোকেট আবদুস সাত্তার পালোয়ান ও সাকিল।

এর আগে বিকেলে মেজর (অব.) আবদুল মান্নান মেঘনা নদীর ভাঙনকবলিত নাছিরগঞ্জ বাজারসহ বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন-কমলনগর উপজেলা চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বাপ্পি ও ভাইস চেয়ারম্যান ওমর ফারুক সাগরসহ দলীয় নেতাকর্মীরা।  

১৬ আগস্ট (শুক্রবার) সকাল ১১টায় তিনি মতিরহাট এলাকা থেকে রামগতি পর্যন্ত নদী পথে ভাঙন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবেন। এসময় তার সঙ্গে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারাসহ বিকল্পধারা বাংলাদেশের নেতারা থাকবেন।

সারা বছর ধরে রামগতি-কমলনগরের মেঘনা নদী ভাঙে। বর্ষা মৌসুমে ভাঙন ভয়াবহ রূপ নেয়। গত কয়েক বছরের ভাঙনে হাজার হাজার পরিবার নিঃস্ব হয়েছে। বিলীন হয়ে গেছে ফসলি জমি, রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মসজিদ, ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র। বর্তমানে হুমকির মুখে রয়েছে কমলনগর উপজেলা কমপ্লেক্সসহ বহু সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা।  

বাংলাদেশ সময়: ০৫১৩ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৯
এসআর/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।