জানা যায়, প্রতিবছর ঈদের পরে মিরপুর থেকে বিভিন্ন স্থানে আনন্দ ভ্রমণের আয়োজন করে মিল্লাত ক্যাম্পের সেলিমসহ আরও কয়েকজন। এবারও ১৫টির বেশি পিকনিক বাস মিরপুর থেকে কক্সবাজারের উদ্দেশে বৃহস্পতিবার রাতে ছেড়ে যায়।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ সড়ক দুর্ঘটনায় আটজন নিহত ও অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।
নিহত আটজনের মধ্যে দু’জনের পরিচয় পাওয়া গেছে। তারা হলেন- ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার রাধানগরের শাহাদাত হোসেন (৩০) ও মুন্সিগঞ্জের বিক্রমপুরের মো. সুজন মিয়া (৪০)। অপর ছয়জনের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। আহত ২০ জনের মধ্যে ১০ জনকে ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার সকাল ৭টার দিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফেনী সদর উপজেলার লেমুয়া সেতু এলাকায় কক্সবাজারগামী একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে ঘটনাস্থলেই দু’জন নিহত হন। আহত হন অন্তত ২০ জন।
এ সময় স্থানীয় লোকজন ও মহিপাল হাইওয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের উদ্ধার করে ফেনী ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিলে সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক আরও দু’জনকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও চারজনের মৃত্যু হয়। মরদেহগুলো ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে।
ফেনী মহিপাল হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহজাহান খান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে জানান, বাসটি উদ্বার করে হাইওয়ে থানায় আনা হয়েছে।
এদিকে, ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতালের দায়িত্বরত চিকিৎসক ডা. নাজমুল হক শাম্মী বলেন, এ ঘটনায় গুরুতর আহত ১০ জনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ১০ জন ফেনী আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
গাড়িতে থাকা নার্গিস নামে একজন জানান, তিনি তার ভাইসহ ঈদের ছুটিতে কক্সবাজার যাচ্ছিলেন। এ ঘটনায় তিনি আহত হলেও তার ভাইকে পাওয়া যাচ্ছে না।
আজম খান নামে অপর আহত জানান, তার বাবা কবির আহম্মদ গুরুতর আহত হয়েছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১১৫৭ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৯
এসএইচডি/আরবি/