বিআইডব্লিউটিএ’র মতে, আগামী ১৬ থেকে ১৮ আগস্ট পর্যন্ত ঢাকামুখী মানুষের চাপ থাকবে বরিশাল নৌবন্দরে। এরমধ্যে ১৭ আগস্ট ভিড় সবচেয়ে বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
গত দু’দিনের চেয়ে বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) বরিশাল নৌবন্দরে যাত্রীর চাপ কিছুটা বেড়েছে। একারণে লঞ্চের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। দিবা-সার্ভিসের তিনটি নৌযান ছাড়াও রাতে বরিশাল নদীবন্দর থেকে যাত্রী নিয়ে সরাসরি রুটের ১০টি লঞ্চ ঘাট ত্যাগ করবে। এছাড়া, ভায়া রুটের বেশ কয়েকটি লঞ্চ বরিশাল নৌবন্দর হয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা দেওয়ার কথা রয়েছে। সরকারি একটি যাত্রীবাহী নৌযানও বরিশাল থেকে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা দিয়েছে।
বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিদর্শক (টিআই) মো. কবির হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, কোরবানির ঈদের পরের দিন থেকেই যাত্রীদের রাজধানীতে ফেরত যাওয়া শুরু হয়। গত ক’দিন ধরে থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে। একারণে চাপ তুলনামূলক কম ছিল। এছাড়া, বৃহস্পতিবার ১৫ আগস্টের ছুটি, এরপর শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। সে হিসাবে শনিবার (১৭ আগস্ট) যাত্রীদের চাপ সবচেয়ে বেশি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। তবে, কেবিনের হিসাবে ১৬ থেকে ১৮ আগস্ট তিন দিনই চাপ থাকবে। এ ক’দিন লঞ্চের সংখ্যাও বেশি থাকবে বরিশাল নৌবন্দরে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বৃহস্পতিবার রাত্রিকালীন সার্ভিসের নির্ধারিত লঞ্চগুলোতে যাত্রী তোলা হচ্ছে। সন্ধ্যা নাগাদ প্রতিটি লঞ্চের ডেকেই যাত্রী কানায় কানায় ভরে যায়। এর আগে, দুপুর পৌনে ৩টা থেকে সাড়ে ৩টার মধ্যে গ্রীনলাইন কোম্পানির দু’টি ও নিজাম শিপিংলাইন্সের মোট ৩টি ওয়াটারবাস বরিশাল থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
লঞ্চযাত্রীরা জানান, যাত্রীর চাপ না থাকলেও নৌবন্দর ও টার্মিনাল এলাকায় হকার-ভিক্ষুকই এখন বড় সমস্যা। এদের কারণে স্বাভাবিক যাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।
বরিশাল নৌবন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা আজমল হুদা মিঠু সরকার বাংলানিউজকে বলেন, আমরা কোনো লঞ্চেই ওভারলোড হয়ে ছাড়তে দিচ্ছি না। লঞ্চ ছাড়ার আগে চেক করে নেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে, লোডলাইন দেখে নিচ্ছি।
এদিকে, যাত্রীদের চাপ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নৌবন্দরের ভেতরও ও বাইরে কঠোর নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। র্যাব-৮, মেট্রোপলিটন পুলিশ, ডিবি, নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিসের সদস্য, মেরিন ক্যাডেট ও স্কাউট সদস্যরা নিরাপত্তার কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন সদর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, যেসব যাত্রী লঞ্চে উঠতে পারবেন না, তাদের জন্য বিআইডব্লিউটিএ’র পক্ষ থেকে যাত্রীছাউনির ব্যবস্থা রয়েছে। আর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা নৌবন্দর এলাকায় তাদের কার্যক্রম নিয়মিত পরিচালনা করছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৯
এমএস/একে