বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৫টায় রাজধানীর জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী এবং জাতীয় শোক দিবসে এ দাবি করা হয়।
সেমিনারে সম্মানিত আলোচক হিসেবে সাবেক উপাচার্য আ. আ. ম. স. আরেফিন সিদ্দিক বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা মানেই বাংলাদেশকে হত্যা করা। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা মানেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের স্বপ্ন কে হত্যা করা। জাতির পিতাকে হত্যা করা বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একটি গভীর ষড়যন্ত্রের অংশ ছিল এবং সেই ষড়যন্ত্র এখনও অব্যাহত রয়েছে।
আরেফিন সিদ্দিকী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার হয়েছে। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে শুধু কতিপয় কিছু সেনা সদস্য জড়িত ছিল না। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পেছনে কারা কলকাঠি নেড়েছে, কার কী ভূমিকা ছিল, আমাদের তা জানা উচিত।
সাবেক এ উপাচার্য বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের পর আমরা দেখলাম রেডিও পাকিস্তানের জয় বাংলার পরিবর্তে বাংলাদেশ জিন্দাবাদ বলে অনুষ্ঠান শুরু ও শেষ করা হচ্ছে। কার সিদ্ধান্তে জয় বাংলা পরিবর্তন করা হলো? হত্যাকাণ্ডের আগে থেকেই পরিকল্পনা করা ছিল এসব।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর খুনিদের কারা বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়েছিলেন? কারা ইনডিমিনিটি আইন করে খুনিদের বিচার প্রক্রিয়া বন্ধ করেছিলেন। কারা সে দিন রাষ্ট্র প্রধানের জীবন রক্ষায় দায়িত্ব পালনে অবহেলা করেছিলেন এবং কারা বাধ্য হয়ে কাজ করেছেন, এগুলোও সবার সামনে তুলে ধরা প্রয়োজন।
সেমিনারের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য দেন জাতীয় জাদুঘরের সচিব মো. আবদুল মজিদ। এরপর ‘ভয়াবহ আগষ্ট’ এর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাংবাদিক প্রণব সাহা।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক রিয়াজ আহম্মদ। পরিচালনা করেন শিহাব শাহরিয়ার।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সংস্কৃতি মন্ত্রাণালয়ের সচিব ড. আবু হেনা মোস্তফা কামাল।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৮ ঘণ্টা, আগস্ট ১৫, ২০১৯
আরকেআর/টিএ