গত দু’দিনের চেয়ে শনিবার (১৭ আগস্ট) রাজধানীমুখী যাত্রীদের চাপ অনেকটাই বেড়েছে। ফলে রাজধানীমুখী লঞ্চের সংখ্যাও বেড়েছে।
এছাড়া, সরকারি একটি নৌ-যানও বরিশাল থেকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রী নিয়ে রওয়ানা দিয়েছে।
লঞ্চের স্টাফরা জানিয়েছেন, যাত্রী পূর্ণ হওয়ায় বিআইডব্লিউটিএ’র নির্দেশে লঞ্চগুলো নির্ধারিত সময়ের এক ঘণ্টা আগে ঘাট ত্যাগ করছে। তবে বিকেলের মধ্যেই কেবিনের যাত্রীদের লঞ্চে উঠতে বলায় তেমন কোনো সমস্যাও হয়নি।
এর আগে, স্পেশাল সার্ভিসের লঞ্চগুলো যাত্রীদের ঢাকায় নামিয়ে দিয়ে দুপুরের মধ্যেই বরিশালে এসে পৌঁছেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শনিবার রাত্রিকালীন সার্ভিসের নির্ধারিত লঞ্চগুলোতে যাত্রী তোলার কোনো হাঁকডাক নেই, যে যেমন করে পারছে কোনোমতে লঞ্চে জায়গা নিয়ে উঠে পড়ছেন। তবে বিকেলের প্রতিটি লঞ্চের ডেকেই যাত্রী কানায় কানায় ভরে গেছে। এর আগে বিকেল পৌনে ৩টা থেকে সাড়ে ৩টার মধ্যে গ্রিন লাইন কোম্পানির দু’টি এবং নিজাম শিপিং লাইন্সের মোট তিনটি ওয়াটারবাস বরিশাল থেকে যাত্রী নিয়ে ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা হয়েছে।
লঞ্চ যাত্রী আশরাফ জানান, লঞ্চে ভিড় হতে পারে, তাই আগে-ভাগেই ঘাটে এসেছি। লঞ্চের ডেকে বিছানা পেতে সিট নিয়েছি। আশা রাখি এ যাত্রায় কোনো অসুবিধা হবে না।
বরিশাল নৌ-বন্দর ও পরিবহন কর্মকর্তা আজমল হুদা মিঠু সরকার বাংলানিউজকে বলেন, আমরা কোনো লঞ্চ ওভার লোড হয়ে ছাড়তে দিচ্ছি না। লঞ্চ ছাড়ার আগে চেক করা হচ্ছে। বিশেষ করে লোড লাইন দেখে নিচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, যাত্রীদের জন্য এবার নতুন দু’টি বিলাসবহুল লঞ্চ যুক্ত হয়েছে। আর যাত্রীদের নিরাপত্তায় রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। যে কারণে এবার ঈদুল আজহায় যাত্রীরা স্বাচ্ছন্দ্যে বাড়ি ফিরেছেন।
এদিকে, বরিশাল নৌ-বন্দরের ভেতরে এবং বাইরে চাপ বাড়ায় যাত্রীদের নিরাপত্তায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব), বরিশাল মহানগর পুলিশ, গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ, নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিসের সদস্য, মেরিন ক্যাডেট ও স্কাউট সদস্যরা কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন সদর নৌ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন।
তিনি বলেন, যেসব যাত্রী লঞ্চে উঠতে পারবে না তাদের জন্য বিআইডব্লিউটিএ’র পক্ষ থেকে যাত্রী ছাউনির ব্যবস্থা রয়েছে। আর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা নদীবন্দর এলাকায় তাদের কার্যক্রম নিয়মিত পরিচালনা করছেন।
** চিরচেনা রূপে ফিরছে ঢাকা
বাংলাদেশ সময়: ২০৩২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০১৯
এমএস/আরআইএস/