রোববার (১৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় ভারতের পেট্রাপোল ও বাংলাদেশের বেনাপোল ইমিগ্রেশনে কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা শেষে মরদেহ দু’টি বাংলাদেশে আনা হয়।
নিহত মাঈনুল আলম ঝিনাইদহের ভুটিয়ারগাতি গ্রামের কাজী খলিলুর রহমানের ছেলে।
অপরদিকে ফারজানা ইসলাম তানিয়া কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার চান্দুর গ্রামের মুন্সি আমিনুল ইসলামের মেয়ে। তার চাচাতো ভাই আবু ওবায়দা শাফিন মরদেহটি গ্রহণ করেন। ফারজানা ইসলাম তানিয়া সিটি ব্যাংকের সিনিয়র কর্মকর্তা হিসেবে রাজধানীর ধানমন্ডি শাখায় কর্মরত ছিলেন।
সড়ক দুর্ঘটনায় বেঁচে যাওয়া শফিউল্লাহ জানান, চিকিৎসার উদ্দেশে তারা গত ১৪ আগস্ট কলকাতায় যান। ১৬ আগস্ট ফারজানা, মাঈনুল ও শফিউল্লাহসহ তিনজন কলকাতার সেক্সপিয়র সরণিতে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে অটোরিকশার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। এ সময় দুই দিক থেকে আসা দু’টি প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে একটি প্রাইভেটকার উল্টে তাদের গায়ের ওপর এসে পড়ে। এ সময় গুরুতর আহত হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান ফারজানা ও মাঈনুল। ভাগ্যের জোরে বেঁচে যান তিনি।
তিনি আরও জানান, বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানোয় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এমন ঘটনার জন্য তিনি ভারত সরকারের কাছে বিচার দাবি করেন।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর হোসেন বলেন, কাগজপত্রের আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে মরদেহ দু’টি তাদের পরিবারের কাছে হস্তাস্তর করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১২২০ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৯
আরএ