রোববার (১৮ আগস্ট) বেলা পৌনে ১২টার দিকে উপজেলার বাগমারা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন- কুমিল্লার গোয়ালপট্টি এলাকার বন্দন হোটেলের মালিক ও কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার ঘোড়া ময়দান গ্রামের বাসিন্দা জসিম উদ্দিন (৪৫), তার স্ত্রী সেলিনা বেগম (৪০), জসিমের শাশুড়ি সকিনা বেগম (৭০), জসিমের বড় ছেলে শিপন (১৭), দ্বিতীয় ছেলে হৃদয় (১৫), মেয়ে নিপু আক্তার (১৩) এবং সিএনজিচালিত অটোরিকশা চালক জামাল হোসেন (৩৫)।
আহত দু’জন হলো নিহত জসিমের ছোট ছেলে রিফাত ও নাঙ্গলকোট উপজেলার ঘোড়া ময়দান গ্রামের শাইমুন হোসেন (১৫)। আহত দু’জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে।
কুমিল্লার পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার (এসপি) (কুমিল্লার দক্ষিণের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত) আব্দুল্লাহ আল মামুন বাংলানিউজকে বলেন, তিশা পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাস ঢাকা থেকে কুমিল্লার লাকসামে যাওয়ার পথে বাগমারা এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা কুমিল্লাগামী সিএনজিচালিত অটোরিকশার সঙ্গে মুখোমুখি হয়। এ সময় সিএনজিচালিত অটোরিকশার পেছনে থেকে একটি মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অটোরিকশাকে ধাক্কা দিলে ত্রিমুখী সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই অটোরিকশার পাঁচ যাত্রী নিহত হন। পরে আহতদের উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে আরও দু’জনের মৃত্যু হয়।
এদিকে, দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন কুমিল্লার এসপি সৈয়দ নুরুল ইসলাম ও কুমিল্লার পদোন্নতিপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার (কুমিল্লা দক্ষিণে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হিসেবে কর্মরত) মামুনসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৯
আরআইএস/