রোববার (১৮ আগস্ট) হাসপাতালের নতুন ভবনে প্যাথলজি বিভাগের দুইপক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তাদের হাসপাতালের জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ঢামেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত নার্স মো. রাসেল জানান, সাড়ে ১২টার দিকে তিনি প্যাথলজি বিভাগে যান তার এক আত্মীয়ের রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট আনতে। কিন্তু অনেকক্ষণ লাইনে থাকার পরও রিপোর্ট না পেয়ে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে জিজ্ঞেস করলে তিনি অশালীন আচরণ করেন।
তিনি বলেন, এ সময় তাদের মধ্যে এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে রিপোর্ট প্রদানকারী ব্যক্তি আমাকে শার্টের কলার ধরে মারধর করতে থাকেন। আমার সঙ্গে থাকা আরও তিনজন নার্স এ ঘটনার প্রতিবাদ করলে প্যাথলজিতে থাকা অপর স্টাফরা আমাদের মারধর করতে থাকে।
এদিকে হাসপাতালের একটি সূত্র অভিযোগ করে, প্যাথলজি বিভাগের তিন নার্সকে আটকে রেখে মারধর করছে- এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে হাসপাতালের নার্সরা মিছিল করে প্যাথলজি বিভাগে যান। সেখানেও তাদের মারধর করা হয়। এতে কমপক্ষে ২০ জনের মতো আহত হয়েছেন, যাদের হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন। এ সময় তিনি হ্যান্ড মাইকে সবাইকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। এরপর সংঘর্ষে লিপ্ত থাকা দুইপক্ষ বিভিন্ন দিকে ছড়িয়ে যায়।
প্যাথলজি বিভাগের দায়িত্বরত মো. রুবেল নামে এক স্টাফ বাংলানিউজকে বলেন, ‘তিন-চার বছর হয় নতুন নার্স নিয়োগ পেয়েছে। তাদের আদব-কায়দা বলতে কিছুই নেই। তারা কয়েকজন প্যাথলজি বিভাগে এসেই মাস্তানি শুরু করে। ’
‘বলে- আমাদের রিপোর্ট দেন, রিপোর্ট কই। এখনো আমাদের রিপোর্ট পাচ্ছি না। আমরা হাসপাতালে নার্স-এই বলে চিল্লাচিল্লি করতে থাকে। আজও তারা চিল্লাচিল্লি করে। একপর্যায়ে আমাদের প্যাথলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ডা. আজিজ বেরিয়ে এলে তার সঙ্গেও খারাপ ব্যবহার করে। ’
এ বিষয়ে যোগাযোগ করলে ডা. আজিজ বাংলানিউজকে বলেন, আমি তাদের বোঝানোর চেষ্টা করি। কিন্তু না বুঝে উল্টো আমার ওপরে তারা হামলা করে।
প্যাথলজি বিভাগের একটি সূত্র জানায়, ঢামেক হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণী ও টেকনোলজিস্ট এবং হাসপাতালের নার্সদের মধ্যে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটে। এতে প্যাথলজিতে আসা রক্তসহ বিভিন্ন পরীক্ষা করতে আসা সাধারণ রোগীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
এক পর্যায়ে চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী ও টেকনোলজিস্টরা নতুন ভবনের নিচ তলায় বিক্ষোভ মিছিল করেন। একই সঙ্গে তাদের ওপরে হামলার বিচারের দাবিও জানান তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০২ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৯
এজেডএস/এমএ