এ ঘটনায় রোববার (১৮ আগস্ট) ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর বাবা ওই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী ঝালকাঠির নবগ্রাম ইউনিয়নের তেরআনা শাহ মাহমুদিয়া আলিম মাদ্রাসায় লেখাপড়ার পাশাপাশি ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ কামাল হোসাইনের বাসায় কয়েক বছর যাবৎ গৃহপরিচারিকার কাজ করতো।
পরবর্তীতে শনিবার (১৭ আগস্ট) রাতে খবর পেয়ে পুলিশ ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে তাদের হেফাজতে নিয়ে আসে। এরপর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ওই ছাত্রীকে ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
ওই ছাত্রীর বাবা সাংবাদিকদের জানান, তাদের বাড়ি বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলার করপাড়া গ্রামে। দরিদ্র্য হওয়ায় বিগত চার বছর ধরে তার মেয়ে ঝালকাঠির সীমান্তবর্তী নবগ্রাম ইউনিয়নের তেরোয়ানা শাহ মাহমুদিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষের বাসায় থেকে ওই মাদ্রাসাতেই পড়ালেখা করছে। এর মধ্যেই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এ কাজ করে। তিনি এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
ঝালকাঠি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শোনিত কুমার গায়েন বাংলানিউজকে বলেন, এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে অধ্যক্ষ কামাল হোসাইনকে আসামি করে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করেছেন। আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৯
এমএস/এসএ