সেখানে আইনগত বৈধতা না থাকায় রোহিঙ্গা শরণার্থী ও আশ্রয়প্রার্থীদের জীবন প্রতিদিনই আরও অনিশ্চিত পরিস্থিতির দিকে ধাবিত হচ্ছে। বৈধভাবে কাজ করার অনুমতি না থাকায় তারা গোপনেই মালয়েশিয়ায় কাজ করছে।
স্বাভাবিকভাবেই সেখানে তারা শোষিত হওয়ায় ঋণের জালে জড়িয়ে পড়ার অথবা কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনার শিকার হওয়ার ঝুঁকি বেশি। রাস্তার ধারে হাঁটলে বা এমনকি চিকিৎসাসেবা নিতে বাইরে বের হলেও শরণার্থীদের হাজতবাস কিংবা চাঁদাবাজির শিকার হতে হয়।
মালয়েশিয়ায় অবস্থান নেওয়া রোহিঙ্গাদের নিয়ে রোববার (২৫ আগস্ট) মেডিসিনস স্যান্স ফ্রন্টিয়ার্সের (এমএসএফ) ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে মালয়েশিয়ায় থাকা রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি তুলে ধরা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ২০১৫ সালে রাখাইন থেকে পালিয়ে মালয়েশিয়ার পেনাংয়ে আসার আগে কিছুদিন থাইল্যান্ডে ছিলেন ইমান হোসেন (২২) নামে এক রোহিঙ্গা। অন্যান্য শরণার্থীদের মতো জীবিকার তাগিদে তিনিও পেনাংয়ে দ্রুত বর্ধনশীল নির্মাণশিল্পে কাজ শুরু করেছেন। তবে গত ১০ সপ্তাহ ধরে কাজের কোনো মজুরি পাচ্ছেন না তিনি।
তার মালিক বলেছেন যে, কাজ চালিয়ে যাওয়া ছাড়া তার আর কোনো উপায় নেই; কারণ ওই সাইটেই তিনি থাকেন, আর এই কাজ ছেড়ে দিলে তিনি সর্বস্বান্ত হয়ে যাবেন।
এমএসএফ-এর মিয়ানমার ও মালয়েশিয়ার অপারেশন ম্যানেজার বেনোয়া দ্য গ্রিজ বলেছেন, রোহিঙ্গারা যে বৈষম্য আর বঞ্চনার শিকার হচ্ছে, তার অন্তর্নিহিত কারণগুলো নিয়ে কথা বলা প্রয়োজন। তাদের নিরাপদে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করার ব্যাপারে গত দুই বছরে খুব সামান্য চেষ্টাই করা হয়েছে।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গাদের একটি ভালো ভবিষ্যতের জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত মিয়ানমারের সঙ্গে কূটনৈতিক প্রক্রিয়া দ্বিগুণভাবে চালিয়ে যাওয়া। একই সঙ্গে অবিশ্বাস্যভাবে ক্ষমতাহীন হতে থাকা এই জনগোষ্ঠীর একটি বৈধ স্বীকৃতি দেওয়া।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৭ ঘণ্টা, ২৫ আগস্ট, ২০১৯
টিআর/এসএ