ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

শাহজালালে সক্রিয় স্বর্ণ ও ইয়াবা পাচারকারী চক্র

তামিম মজিদ, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৯
শাহজালালে সক্রিয় স্বর্ণ ও ইয়াবা পাচারকারী চক্র হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। বাংলানিউজ

ঢাকা: হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সক্রিয় অপরাধী চক্র। তারা এ বিমানবন্দরকে ইয়াবা ও স্বর্ণ চোরাচালানের অন্যতম রুট হিসেবে ব্যবহার করছে। প্রতিবছরই বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ-ইয়াবা উদ্ধার করছে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ। বিমানবন্দরের বাহিরেও তৎপর প্রতারক চক্র।

সিগারেট, স্বর্ণ, বৈদেশিক মুদ্রা ও ইয়াবা পাচারের ঘটনায় আটকদের তালিকায় রয়েছে বিমানের কর্মী, কাস্টমস, সিবিএ, এয়ারলাইন্স কর্মী ও পরিচ্ছন্নকর্মীরাও। যাত্রীদের সঙ্গে প্রতারণার ঘটনায় দালাল চক্রের সদস্যরাও আটক হচ্ছেন প্রায়ই।

 

তবে আর্মড পুলিশ বলছে, কঠোর নজরদারির কারণে বিমানবন্দরে অপরাধ একেবারেই কমে এসেছে। টার্মিনালের বাইরে এখন যাত্রীদের নিয়ে টানাটানি নেই। তারা নির্বিঘ্নেই বাড়ি ফিরতে পারছেন।  

বিমানবন্দর আর্মড পুলিশের (এপিবিএন) তথ্যমতে, ২০১৮ সালের জুলাই থেকে ২০১৯ সালের জুলাই পর্যন্ত এক বছরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ১ লাখ ২৭ হাজার ৩৪৪ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় মামলা হয়েছে ৪৮টি। ইয়াবা পাচারে জড়িত থাকায় অন্তত ৮০ জনকে আটক করা হয়েছে।  বিমানবন্দরে নিয়মিতই উদ্ধার হচ্ছে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণ।  ফাইল ফটো২০১০ সালের জুন থেকে ২০১৯ সালের জুলাই পর্যন্ত এ বিমানবন্দরে ৫৭১ কেজি ৭৯ গ্রাম স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া, বিপুল পরিমাণ বিদেশি সিগারেট, হেরোইন ও বৈদেশিক মুদ্রাও জব্দ করা হয়েছে। গত দশ বছরে বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত অভিযোগে আর্মড পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন অন্তত সাত হাজার লোক।  

সূত্র জানায়, হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রতিদিন ওঠা-নামা করে ১৩০ থেকে ১৩৫টি ফ্লাইট। দেশের প্রধান এ বিমানবন্দর দিয়ে প্রতিদিনই বিদেশ যাওয়া-আসা করেন প্রবাসী শ্রমিকরা। সহজ-সরল  এসব যাত্রীদের ঘিরেও সক্রিয় রয়েছে কিছু প্রতারক।

এমনই এক প্রতারণার ঘটনা ঘটে গত ১১ আগস্ট। মৌলভীবাজারের মুসাহিদ মিয়া ওমান যাওয়ার উদ্দেশে বিমানবন্দরে আসেন। সেখানে তার সঙ্গে এক ব্যক্তির পরিচয় হয়, তিনি নিজেকে ওমান প্রবাসী হিসেবে পরিচয় দেন। দু’জনের মধ্যে ওমান বিষয়ে নানা আলোচনার একপর্যায়ে ওই ব্যক্তি মুসাহিদের ভিসা-পাসপোর্ট দেখে বলেন, ম্যানপাওয়ার কার্ড নেই। তিনি ঠিক করে দিতে পারবেন। এরপর মুসাহিদের পাসপোর্ট ও টিকিট নিয়ে লাপাত্তা হয়ে যান ওই প্রতারক। পরে মুসাহিদের মোবাইলে ফোন দিয়ে ৩০ হাজার টাকা দাবি করেন তিনি।  বিমানবন্দরে হয়রানি কমেছে বলে দাবি নিরাপত্তা বাহিনীর।  ফাইল ফটোবিমানবন্দর আর্মড পুলিশকে বিষয়টি জানালে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে মো. দিদার আলম ও আরিফ মিয়া নামে প্রতারক চক্রের দু’জন সদস্যকে আটক করা হয়। বিমানবন্দরে ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের চার মাসের কারাদণ্ড দেন।  

বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপারেশন্স অ্যান্ড মিডিয়া) মো. আলমগীর হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, আর্মড পুলিশের কঠোর নজরদারির কারণে বিমানবন্দরে অপরাধীদের দৌরাত্ম্য অনেকটা কমেছে। যাত্রী হয়রানিও নেই। বিমানবন্দর দিয়ে যাত্রীরা নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারছেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৯
টিএম/একে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।