মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব (জেলা ও মাঠ প্রশাসন অধিশাখা) মুশফিকুর রহমানকে আহ্বায়ক করে রোববার (২৫ আগস্ট) এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (জেলা ও মাঠপ্রশাসন অনুবিভাগ) আ. গাফ্ফার খান বাংলানিউজকে বলেন, পাঁচ সদস্যের কমিটিকে আগামী ১০ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
‘কমিটিকে প্রকাশিত ভিডিওটির সঠিকতা যাচাই করে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। এছাড়া কমিটি প্রয়োজনে সরেজমিন পরিদর্শন করবে এবং ভিডিওটির সঠিকতা যাচাইয়ের বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের মতামত নেবে। কমিটিতে প্রতিবেদনে সুষ্পষ্ট মতামত দিতে হবে। ’
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একজন প্রতিনিধি, ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনারের একজন প্রতিনিধি, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) একজন প্রতিনিধি কমিটিতে সদস্য হিসেবে থাকবেন। সদস্যরা কেউই উপসচিব পদমর্যাদার নিচে হতে পারবে না।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাঠ প্রশাসন শৃঙ্খলা অধিশাখার উপসচিব কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
সম্প্রতি ফেসবুকে আপলোড করা চার মিনিট ৫৭ সেকেন্ডের ভিডিওতে জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীরের খাস কামরায় যে নারীকে দেখা যাচ্ছে তা সম্প্রতি নিয়োগ পাওয়া পিয়নের বলে স্থানীয়রা শনাক্ত করেছেন।
এই ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টির পর জেলা প্রশাসককে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে ওএসডি করা হয়েছে।
একজন জেলা প্রশাসকের এ ধরনের ঘটনাকে অনাকাঙ্ক্ষিত এবং অপ্রত্যাশিত মন্তব্য করে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জানিয়েছেন, তদন্তে প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে ‘উদাহরণ সৃষ্টির মতো’ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এছাড়া ওই নারী সরকারি কর্মীর বিরুদ্ধেও বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৯
এমআইএইচ/জেডএস