রোববার (২৫ আগস্ট) ৩৬টি ওয়ার্ডে (১ থেকে ৩৬ নং ওয়ার্ড) একযোগে শুরু হওয়া ‘এডিস মশার লার্ভা ধ্বংসকরণ এবং বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান’ অর্থাৎ ‘চিরুনি অভিযান’-এ এসব চিত্র পাওয়া যায়।
অভিযানের প্রথম দিনে রোববার ৩৬টি ওয়ার্ডে মোট নয় হাজার ৭৩৬টি বাড়ি ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করা হয়।
লার্ভা পাওয়া বাড়িগুলোর সামনে ‘এ বাড়ি/প্রতিষ্ঠানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গিয়াছে’ এমন লেখা সম্বলিত স্টিকার লাগানো হয়। এছাড়া তিন হাজার ১২৩টি বাড়ি ও স্থাপনা থেকে এডিস মশা বংশবিস্তারের অনুকূল পরিবেশ ধ্বংস করা হয়।
চিরুনি অভিযানের সময় সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে ডিএনসিসির নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাজিদ আনোয়ারের নেতৃত্বে গুলশানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় ৪৪ নং গুলশান এভিনিউর জি এস কনস্ট্রাকশন কোম্পানিকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
গত ২০ আগস্ট ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে ১৯ নং ওয়ার্ড থেকে এ ‘চিরুনি অভিযান’র উদ্বোধন করেন অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ। পরীক্ষামূলকভাবে ২২ আগস্ট পর্যন্ত ১৯ নং ওয়ার্ডের ৩টি ব্লকে ‘চিরুনি অভিযান’ চালানো হয়। আজ থেকে ১০ দিনব্যাপী ৩৬টি ওয়ার্ডে একযোগে এ অভিযান শুরু হলো। এ লক্ষ্যে প্রতিটি ওয়ার্ডকে ১০টি ব্লকে এবং প্রতিটি ব্লককে ১০টি সাব-ব্লকে ভাগ করা হয়।
ডিএনসিসির পরিচ্ছন্নতা এবং মশককর্মীরা প্রতিদিন একটি করে ব্লকে ‘চিরুনি অভিযান’ সম্পন্ন করবেন। এভাবে ১০ দিনে ৩৬টি ওয়ার্ডে এ অভিযান সম্পন্ন হবে। সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কাউন্সিলররা চিরুনি অভিযানের সার্বিক তত্ত্বাবধান করছেন। পরবর্তীতে সম্প্রসারিত ১৮টি ওয়ার্ডেও এ অভিযান চালানো হবে বলে জানানো হয় সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৪ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৯
এসএইচএস/জেডএস