রোববার (২৫ আগস্ট) বিকেলে জনউদ্যোগ, খুলনার নারী সেলের উদ্যোগে খুলনা মহানগর পুলিশের (কেএমপি) কার্যালয়ে এ স্মারকলিপি দেওয়া হয়। অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম এ স্মারকলিপি গ্রহণ করেন।
নারী সেলের নেতারা বলেন, সাত বছরের শিশু ধর্ষণকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেফতার করুন। দীর্ঘ নয়দিন অতিবাহিত হলেও ধর্ষণকারীদের এখন গ্রেফতার করা হয়নি। বরং প্রতিদিন পত্রিকা খুললেই ধর্ষণ, নির্যাতন, বিয়ের প্রলোভনসহ নানা অপরাধ বাড়ছে। প্রকৃত আসামিরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে। শিশুদের মোবাইলের যথাযথ ব্যবহার শেখাতে হবে। কোনোভাবে যেন প্রযুক্তির ব্যবহার ভিন্নখাতে প্রবাহিত না হয়। নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের যথার্থ প্রয়োগ করতে হবে। অপরাধী যেন কোনোভাবে সমাজের কারও কাছে আশ্রয় না পায়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। নারীকে স্বাবলম্বী হতে হবে। নীতি ও নৈতিক শিক্ষার ওপর জোর দিতে হবে।
এসময় তারা পার্কগুলোতে সামাজিক নিয়মকানুন বজায় থাকে সেইদিকে নজর দেওয়ার জন্য অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার প্রতি আহ্বান জানান।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলাম বিষয়গুলো শুনে তাৎক্ষণিক কিছু বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেন।
এ সময় জনউদ্যোগ, খুলনার নারী সেলের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট শামীমা সুলতানা শীলু, প্রফেসর ডা. সৈয়দা লুৎফুন নাহার নীলা, মহিলা পরিষদের নেত্রী ইসরাত আরা হীরা, আফরোজা জেসমিন বীথি, জেসমিন সুলতানা লাজু, বেদৌরি আফরোজা ও জনউদ্যোগ, খুলনার সদস্য সচিব মহেন্দ্রনাথ সেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ১৬ আগস্ট (শুক্রবার) খুলনা মহানগরের টুটপাড়া মহিরবাড়ি খালপাড় এলাকায় সাত বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়। শিশুটি অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলতে নিজ বাড়ি থেকে বের হয়। এসময় এক যুবক ফুসলিয়ে তাকে পার্শ্ববর্তী একটি নির্জন বাড়ির সিড়িঁর নিচে নিয়ে ধর্ষণ করে। রক্তাক্ত অবস্থায় শিশুটি পরিবারের সদস্যদের ঘটনাটি জানায়। এলাকাবসীর সহায়তায় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, আগস্ট ২৫, ২০১৯
এমআরএম/ওএইচ/