তিনি বলেছেন, সমুদ্র অর্থনীতি এক নতুন অর্থনৈতিক সম্ভাবনা নিয়ে হাজির হয়েছে। বর্তমান ও ভবিষ্যতের নাগরিকদের জন্য এ সম্পদকে ব্যবহার করতে হবে, একইসঙ্গে এর টেকসই ব্যবস্থাপনায় মনোযোগী হতে হবে।
তিনি ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সম্ভাবনার সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে টেকসই সমুদ্র অর্থনীতিকে উৎসাহিত করারও আহবান জানান।
সফররত ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোহাম্মদ জাবেদ জারিফের সঙ্গে বুধবার (৪ সেপ্টম্বর) জাতীয় সংসদ ভবনে নিজ কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে স্পিকার এ আহ্বান জানান। জতীয় সংসদ সচিবালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. জাবেদ জারিফ ঢাকায় শুরু হওয়া ব্লু-ইকোনমি বা সমুদ্র অর্থনীতিবিষয়ক মন্ত্রী পর্যায়ের দুই দিনব্যাপী সম্মেলনে অংশ নিতে এসেছেন।
সাক্ষাৎকালে তারা সমুদ্র অর্থনীতির টেকসই ব্যবহার, রোহিঙ্গা ইস্যু, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের প্রসার প্রভৃতি বিষয়ে আলোচনা করেন।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ ও ইরানের মধ্যে দীর্ঘকালের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান।
তিনি ২০১৪ সালে ইরান সফরের স্মৃতিচারণ করে বলেন, মুসলিম উম্মাহ’র উন্নয়নে দু’দেশের রয়েছে ঐতিহাসিক সম্পর্ক।
স্পিকার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে ইরানের সহায়তা প্রত্যাশার কথাও উল্লেখ করেন।
বর্তমান সরকার সারাদেশে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলেছে জানিয়ে স্পিকার বাণিজ্যের প্রসার, জ্বালানি, ওষুধ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষ করে সফটওয়ার খাতে বিনিয়োগসহ পারস্পরিক সহায়তা বাড়াতে ইরানের প্রতি আহ্বান জানান।
ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সমুদ্র অর্থনীতির বিশাল সম্পদকে কাজে লাগিয়ে এদেশের অর্থনীতিকে এগিয়ে নেওয়ার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে।
তিনি বলেন, ওষুধ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষ করে সফটওয়ার খাতে বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য ইরানের বেসরকারি খাতকে উৎসাহিত করা হবে।
জাবেদ জারিফ বাংলাদেশ থেকে ইরানে পাটজাত পণ্য আমদানির বিষয়েও আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৯
এসকে/এইচএ/