মিছিলে নিরাপত্তার স্বার্থে বাইক অংশগ্রহণ সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। একইসঙ্গে তাজিয়া শোকমিছিলে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থার কথা জানিয়েছেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) ডিএমপি সদর দফতরে আয়োজিত এক সমন্বয় সভায় তিনি একথা জানান। সভায় ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি, সরকারের বিভিন্ন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিসহ শিয়া সম্প্রদায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
শোকমিছিলে আয়োজক কর্তৃপক্ষের প্রতি বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, শোক মিছিলের নির্ধারিত রুট ও সময়সীমা (নির্ধারিত সময়ে শুরু ও শেষ) মেনে চলতে হবে। তাজিয়া শোকমিছিলে কোনো বাইক যাতে অংশগ্রহণ করতে না পারে সে বিষয়টি আয়োজক সংস্থা নিশ্চিত করবেন।
মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের নিশানের উচ্চতা ১২ ফুটের বেশি হবে না জানিয়ে তিনি বলেন, শোকমিছিল ও অন্যান্য অনুষ্ঠান কেন্দ্র করে আয়োজক সংস্থা প্রতিটি সমবেত স্থানে পর্যাপ্ত সংখ্যক সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করবেন। আয়োজক সংস্থা পর্যাপ্ত সংখ্যক আইডি কার্ডসহ স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ ও যাচাই-বাছাইয়ের জন্য ছবিসহ তালিকা সংশ্লিষ্ট উপ-পুলিশ কমিশনারের (ডিসি) অফিসে পাঠাতে হবে।
শোকমিছিলে সব ধরনের ধারালো অস্ত্র, ধাতব পদার্থ, দাহ্য পদার্থ, ব্যাগ, পোটলা, লাঠি, ছোরা, চাকু, তরবারি/তলোয়ার, বর্শা, বল্লব ও আতশবাজির ব্যবহার নিষিদ্ধ। পোশাকের সঙ্গেও এগুলো ব্যবহার করা যাবে না। শোকমিছিল শুরুর পর রাস্তার মাঝ থেকে আগত লোকেরা মিছিলে প্রবেশ করতে পারবেন না।
মিছিল শুরুর স্থানে প্রবেশের আগে সবাইকে আর্চওয়ে, মেটাল ডিটেক্টর ও হাত দিয়ে দেহ তল্লাশি করে প্রবেশ করানো হবে। এসময় উচ্চমাত্রার শব্দ তৈরি করার ঢাক-ঢোল, বাদ্যযন্ত্র ব্যবহার করা যাবে না।
তাজিয়া মিছিল ও আশুরাকেন্দ্রিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে কাউকে চাদর গায়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলেও জানান তিনি।
বাংলদেশ সময়: ২১৫০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৯
পিএম/এএ