বুধবার (০৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ময়নাতদন্ত শেষে নিহত গৃহবধূর মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেছে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ। এর আগে মঙ্গলবার (০৩ সেপ্টেম্বর) দিনগত গভীর রাতে উপজেলার দাশুড়িয়া ইউনিয়নের হাটপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
দাশুড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম বকুল সরদার বাংলানিউজকে জানান, মঙ্গলবার রাতে ওয়াস রুমে কাপড় রাখা হ্যাঙ্গারের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় শায়লাকে পাওয়া যায়। বাড়ির লোকজন মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে পাবনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
শায়লার বাবা সবুজ মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, ২০১৯ সালের ১১ জানুয়ারি শায়লা ও আবিরের বিয়ে হয়। আর গত ১৯ জুলাই শায়লাকে আবিরের দাশুড়িয়ার বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে মেয়েকে ৭ ভরি স্বর্ণালঙ্কার দেওয়া হয়। শায়লা আমাদের জানায় বিয়ের পর থেকেই তাকে আবির ও তার পরিবারের লোকজন শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতো। গত ৩ সেপ্টেম্বর রাতে মোবাইল ফোনে শায়লার শ্বশুরবাড়ির লোকজন আমাদের জানায় সে পাবনা হাসপাতালে মারা গেছে। পরে জানতে পারি শায়লা আত্মহত্যা করেছে।
তিনি অভিযোগ করে আরও বলেন, মেয়েকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আত্মহত্যা করতে বাধ্য করেছে।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বাহাউদ্দীন ফারুকী বাংলানিউজকে জানান, এটা হত্যা না আত্মহত্যা প্রাথমিকভাবে বলা যাচ্ছে না। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।
তিনি আরও বলেন, নিহত শায়লার বাবা বাদী হয়ে আবির, তার বাবা নান্নু সরদার ও মা রিফা খাতুনকে আসামি করে অভিযোগ দায়ের করেছেন। নিহতের স্বামী আবির ও শাশুড়ি রিফা খাতুনকে আটক করা হলেও শ্বশুর নান্নু সরদার পলাতক রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (০৫ সেপ্টেম্বর) আদালতের মাধ্যমে আটক আসামিদের পাবনা জেলা কারাগারে পাঠানো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২৩১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৪, ২০১৯
এমআরএ/আরএ