ঢাকা, সোমবার, ২৭ মাঘ ১৪৩১, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের সুপারিশ বাস্তবায়নে টাস্কফোর্স 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০১৯
সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের সুপারিশ বাস্তবায়নে টাস্কফোর্স  জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের ২৭তম সভা/ছবি: বাদল

ঢাকা: সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের ১১১ দফা সুপারিশ বাস্তবায়নে টাস্কফোর্স গঠন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। 

তিনি বলেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে সভাপতি করে শক্তিশালী এ টাস্কফোর্স করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এ টাস্কফোর্স কাজ শুরু করবে।

 

বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টায় রাজধানীর বনানী বিআরটিএ কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের ২৭তম সভা শেষে একথা বলেন তিনি।  

ওবায়দুল কাদের বলেন, শুধু উদ্যোগ নিলেই হবে না, বাস্তবায়ন করতে হবে। মহাসড়কে চালকের জন্য বিশ্রামাগার তৈরির প্রকল্প একনেকে পাস হয়েছে। এছাড়া বহুলপ্রতিক্ষীত ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক চারলেনে উন্নীত করতে এডিবি অর্থ দেবে।  

মন্ত্রী বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে আলাদা সার্ভিস লেন তৈরি করতে প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে। ঢাকা-সিলেট মহাসড়কসহ অন্য মহাসড়ক যেহেতু চারলেন নয়, তাই চারলেন করার সময় সার্ভিস লেনের পরিকল্পনা করেই তৈরি করা হবে।  

ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে পারবো না, একথা ঠিক নয়। আমরা ইতোমধ্যে বহুক্ষেত্রে শৃঙ্খলা ও আইন বাস্তবায়ন করেছি। তাই আমরা সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাবোই।  

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, পরিবহন মালিক ও শ্রমিক এবং সংশ্লিষ্ট কমিটির সবার মতামতের ভিত্তিতে সড়ক পরিবহন আইন বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। আগামী সপ্তাহে এ ব্যাপারে সবাইকে জানানো হবে।  

পুলিশের আইজি জাবেদ পাটোয়ারী বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডাম্পিং স্টেশন নেই। গাড়ি জব্দ করে রাখারই জায়গা নেই। এটা নির্মাণ করলে নিয়ম না মানা গাড়িকে জব্দ করা গেলে বিশৃঙ্খলা কমে আসবে। ঢাকা শহরে বিশাল বিশাল ভবন, অথচ পার্কিংয়ের জায়গা নেই। পার্কিং ছাড়া ভবন নির্মাণের অনুমতি দেওয়া উচিত হবে না।  

আইজি বলেন, ট্রাফিক আইন না মানার সংস্কৃতি পুলিশ দিয়ে কন্ট্রোল সম্ভব নয়। আইন মানতে হবে। মানুষকে আইন মানতে সচেতন করতে হবে। তাহলেই সব সমস্যা সমাধান হবে।  

বিআরটিএতে বৈঠকডিএমপি কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া বলেন, আইন না মানার সংস্কৃতির কারণে সড়কে বিশৃঙ্খলা। ফলে সেবা সংস্থার পরিবর্তে ডিএমপি রাজস্ব আদায়ের প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে। আমরা চাই না ডিএমপি রাজস্ব আদায়ের প্রতিষ্ঠান হোক, একটি সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান হোক এটা চাই।  

ডিএমপি কমিশনার সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে টাস্কফোর্স গঠন করার প্রস্তাব দিয়ে বলেন, এটা করতে না পারলে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব নয়।  

সভায় অংশ নেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, রেলপথমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি একাব্বর হোসেন, সাবেক নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাহজাহান খান, পরিবহন মালিক নেতা ও সংসদ সদস্য মসিউর রহমান রাঙ্গা, পুলিশের আইজি জাবেদ পাটোয়ারী, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সচিব নজরুল ইসলাম, রেল সচিব মোফাজ্জেল হোসেন, বিআরটিএ চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ প্রমুখ।  

সভায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা, মালিক ও পরিবহন শ্রমিক প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।  

বাংলাদেশ সময়: ১২৩৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৫, ২০১৯
টিএম/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।