বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর পৌনে ১টার দিকে উপজেলার কাশিম আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। মাজিদ উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন মনুরটুক এলাকার হাফিজ আলীর ছেলে।
এ ঘটনায় অভিযুক্ত একই ক্লাসের ছাত্র সাইফুর রহমান সায়েমকে (১৩) আটক করেছে পুলিশ। সায়েম একই এলাকার আমির আলীর ছেলে।
বিদ্যালয়ের ছাত্র ও শিক্ষকদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, দুপুরে এক শিক্ষক ক্লাস নিয়ে বেরিয়ে যান। এমন সময় বেঞ্চে বসা নিয়ে ৩৩ নম্বর রোলধারী মাজিদের মাথার পাশে ও চোয়ালে আঘাত করে ১৩ নম্বর রোলধারী সায়েম। সঙ্গে সঙ্গে ক্লাসেই জ্ঞান হারায় মাজিদ। তাকে উদ্ধার করে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
কাসিম আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহাদুজ্জামান বলেন, অষ্টম শ্রেণির কক্ষ বিদ্যালয় ভবনের তৃতীয় তলায়। এদিন চতুর্থ বিষয় পড়ানোর পর ক্লাস থেকে বেরিয়ে আসেন এক শিক্ষক। এমন সময় চিৎকার শুনে দৌড়ে গিয়ে দেখতে পাই, মাজিদ অজ্ঞান হয়ে পড়ে আছে। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে উদ্ধার করে ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আঘাতে মাজিদের মাথার ডান পাশের অংশ কালচে বর্ণ ধারণ করে।
তিনি আরও বলেন, কেবল ক্লাসে বেঞ্চে বসা নিয়ে মাজিদের মাথার দু’পাশ ও কানে আঘাত করে সায়েম। অন্য কোনো বিরোধ থেকে নয়। সায়েম নিজেও স্বীকার করেছে বেঞ্চে বসা নিয়ে প্রথমে তাকে থাপ্পর মারার কারণে সে ঘুষি মারে। এ ঘটনার পর পরই ঘটনাস্থলে হাজির হন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. জসিম উদ্দিন। এ বিষয়ে তিনি আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ বদরুজ্জামান বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, অভিযুক্ত সায়েমকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত মজিদের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৪ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৯
এনইউ/আরবি/