বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক আবু শামীম আজাদ এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত রেজাউল করিম রেজা উপজেলার তেরচর এলাকার আ রশিদ হাওলাদারের ছেলে বলে জানিয়েছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী আজিবর রহমান।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ১ নভেম্বর দণ্ডপ্রাপ্ত ও বিবাহিত রেজাউল করিম রেজা মুলাদী সদরের ৫ নম্বর ওয়ার্ডে তার চাচার বাড়িতে যায়। এসময় ওই বাড়িতে কেউ না থাকার সুবাদে চাচাতো বোনকে ধর্ষণ করে। এরপর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময় রেজা তার চাচাতো বোনকে ধর্ষণ করে।
একপর্যায়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে ভিকটিম বিষয়টি রেজাকে জানায়। কিন্তু রেজা ভিকটিমের গর্ভপাতের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে বিষয়টি (ধর্ষণ) অস্বীকার করে।
পরে ২০১১ সালের ৫ মে ভিকটিম বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত মেডিকেল পরীক্ষা শেষে ২০১২ সালের ১৫ নভেম্বর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
পরবর্তীতে ৬ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত বৃহস্পতিবার আসামির অনুপস্থিতিতে তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও দুই বছরের কারাদণ্ড দেন।
একইসঙ্গে আদালত ভিকটিমের জন্ম দেওয়া কন্যা সন্তানের বিয়ে না হওয়া পর্যন্ত তার ভরণ-পোষণের জন্য রাষ্ট্রকে ব্যয়ভার বহনের নির্দেশ দিয়েছেন। পাশাপাশি আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৯
এমএস/ওএইচ/