তিনি বলেছেন, দ্বি-পক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে কেনিয়া এবং বাংলাদেশ উভয়ই দেশ আগ্রহ প্রকাশ করেছে। বাংলাদেশ থেকে কেনিয়ার রফতানি করা পণ্যের মধ্যে শীর্ষস্থান দখল করে রয়েছে পাট।
আমদানির আহ্বান জানিয়েছি।
বৃহস্পতিবার (০৫ সেপ্টেম্বর) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে নাইজেরিয়ার এক প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠককালে কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক এ আহ্বান জানান। প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন কেনিয়ার কৃষি, প্রাণিসম্পদ ও মৎস্যমন্ত্রী মওনজি কিউনজুরি।
কৃষিমন্ত্রী ড. রাজ্জাক বলেন, বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি এখন আমাদের লক্ষ্য নিরাপদ ও পুষ্টিমান সমৃদ্ধ খাদ্য নিশ্চিত করা। এছাড়া আধুনিক কৃষি ও বাণিজ্যিক কৃষির জন্য কাজ করে যাচ্ছে সরকার। বাংলাদেশ বিগত একদশকে অর্থনৈতিক সামাজিক ও মানব উন্নয়নসহ প্রায় সবসূচকে সাফল্য অর্জন করেছে।
‘এই সাফল্য টেকসই করাই বর্তমান সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। এছাড়া মৎস্য ও প্রাণী খাতেরও অর্জন ভালো। আমাদের লক্ষ্য ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজির গোল অর্জন করা। আমরা ধীরে ধীরে উন্নত রাষ্ট্রের পথে এগিয়ে চলছি। ’
কেনিয়ার কৃষিমন্ত্রী মওনজি কিউনজুরি বলেন, কেনিয়া ও বাংলাদেশ ভূমি গঠনে, সংস্কৃতিতে, ভাষায় এবং ইতিহাস ঐতিহ্যে সম্পূর্ণ আলাদা। তবুও দুই দেশই উন্নয়ন তালিকায় সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হিসেবে কৃষি, খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টিকে রেখেছে এবং উভয় দেশই স্বাধীনতার পর কৃষিতে বিরাট অগ্রগতি ঘটিয়েছে।
‘কেনিয়ার খাদ্য ও কৃষি খাত এখন বিকাশমান। যা চা, কফি, ফল, সবজি ও ফুলের বদৌলতে অর্থনীতিতে প্রায় ৫০ শতাংশ অবদান রেখে চলেছে। এছাড়া দেশটিতে প্রচুর পরিমাণে ভুট্টা উৎপন্ন হয়। ’
উল্লেখ্য, কেনিয়ার কৃষক সমবায়ের দীর্ঘ ও সমৃদ্ধ ঐতিহ্য/ইতিহাস আছে যার শুরু স্বাধীনতার পূর্বে সেই ১৯৪০ সালে। শক্তিশালী ও প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি প্রতিষ্ঠা, সদস্যদের ব্যবসায়িক পরামর্শ, লটে বা একসঙ্গে কেনাবেচার সুযোগ সৃষ্টি এবং চাহিদার সঙ্গে খাপখাইয়ে চলার মতো প্রায়োগিক কৌশলসহ একটি সুসংগঠিত এবং পেশাদার স্বত্তা হিসেবে আবির্ভূত হতে কেনিয়ার কৃষক সংগঠনকে কয়েক দশকজুড়ে অনেক বাধা-বিপত্তি অতিক্রম করতে হয়েছে। বাংলাদেশে কৃষিখাতে যে অভূতপূর্ব সাফল্য অর্জন করেছে এজন্য সরকার ও কৃষকদের ভূয়সী প্রশংসা করেন কেনিয়ার মন্ত্রী।
বাংলাদেশের কৃষিমন্ত্রী ড. রাজ্জাককে কেনিয়া ভ্রমণের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ২১২১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৫, ২০১৯
জিসিসি/এমএ