এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে নুরুজ্জামান নামে ১৮ মাসের শিশুর মৃত্যু হয়। বিকেল শাম্মী আক্তার (৬) মাসের শিশু চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়।
ঘনি মহেশষপুর গ্রামের সেলিম উদ্দিনের ছোট ছেলে। এছাড়া বিষপানে করা মা নুরবানু আক্তার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুলিশ ও পরিবারের স্বজনরা জানান, বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতে শাশুড়ির সঙ্গে ঝগড়া লাগে নুরবানুর। পরের দিন সকালে তার স্বামী বাসা থেকে বের হয়ে যাওয়ার পরেই নুরবানু তার দু’সন্তানের মুখে বিষ দিয়ে নিজে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এ সময় স্থানীয় ও পরিবারের সদস্যরা তাদের উদ্ধার করে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক শিশু নুরুজ্জামানকে মৃত ঘোষণা করেন।
নুরবানুর স্বামী সেলিম উদ্দীন বলেন, সকালে প্রতিদিনের ন্যায় কাজের সন্ধানে বাসা থেকে বের হই। আমার স্ত্রী দু’সন্তানের মুখে বিষ দিয়ে নিজেও বিষপান করছেন, এমন খবর স্থানীয়রা জানালে আমি তিনজনকে ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে নিয়ে আসি।
নুরবানুর শাশুড়ি শাহার বানু বলেন, আমাকে খেতে দেই না আমার ছেলে বউ। এনিয়ে বুধবার রাতে ছেলে বউয়ের ঝগড়া হয়েছিল। সকালে নুরবানু রাগ করেই বাচ্চা দুইটাকে বিষ খাইয়ে নিজেও বিষ পান করেন।
ঠাকুরগাঁও সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফিরোজা জানান, শাশুড়ি সঙ্গে ঝগড়া কারণে দু’সন্তানের মুখে বিষ দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন নুরবানু এমনটা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে পুলিশ। তদন্ত শেষে বলা যাবে প্রকৃত ঘটনা।
বাংলাদেশ সময়: ০৪০৯ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১৯
এএটি