শুক্রবার (০৬ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কো-অর্ডিনেশন অথরিটি এবং সার্ফ এক্সেল এর উদ্যোগে আয়োজিত ‘মুক্ত হোক শৈশব’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাচ্চাদের বাবা-মাকে উদ্দেশ্য করে মোহিত কামাল বলেন, বাচ্চাদের বিকাশের ধারা হচ্ছে স্বতঃস্ফূর্ত।
‘শিশুকাল থেকেই যদি সন্তান আত্মবিশ্বাসী হয়, শিশুকাল থেকেই যদি আত্মপ্রত্যয়ী হয়, শিশুকাল থেকেই যদি সাহসী হয়, সেই সন্তান বড় হয়ে প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবিলা করতে পারবে। ব্যর্থতাকে মোকাবিলা করতে পারবে। ’
বাবা-মাকে সতর্ক করে তিনি বলেন, বাচ্চাদের হাতে কখন আপনারা স্মার্টফোন দিবেন? এটা জানতে হবে। কতটুকু সময় বাচ্চারা মোবাইল ব্যবহার করবে, আর কোন সময় ব্যবহার করতে পারবে না, তা নির্ধারন করে দিতে হবে। শৃঙ্খলা করে দিতে পারলে, বাচ্চারা অনিয়ন্ত্রিত হবে না। আমরা মনে করি মনস্তাত্ত্বিকভাবে ১৬ বছরের আগে বাচ্চাদের হাতে স্মার্টফোন তুলে না দেওয়াই ভালো।
তিনি আরও বলেন, স্মার্টফোন বাচ্চাদের মস্তিষ্ক বিকাশের স্বতঃস্ফূর্ত ধারা নষ্ট করে। বাচ্চাদের ছুটোছুটি করা মস্তিষ্ক বিকাশের জন্য খুবই প্রয়োজন। মেধাবিকাশ ও মানসিক বিকাশের জন্যও এটি প্রয়োজন। যেসব বাচ্চারা বাসায় বসে মোবাইলে, কম্পিউটারে গেম খেলে, তাদের মেধা বিকাশে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বাচ্চারা যখন মাঠে ছুটোছুটি করবে, তখন তার মস্তিষ্কের প্রবাহ ভালো থাকবে। তখন ব্রেইনের বিকাশ ভালো হবে। তখনি শিশুর মানসিক বিকাশ ভালো হবে। তখনি শিশুদের মনোযোগ ধরে রাখার প্রবাহ ভালো হবে। তেমনিভাবে শিশুর শারীরিক বিকাশও ভালো হবে।
‘সুতরাং মায়েরা বাচ্চাদেরকে স্বাধীনতা দেন। ছুটোছুটি করতে দেন, আঘাত পেতে দেন, হারিয়ে যেতে দেন। সে ঠিকই কিন্তু আপনাকে খুঁজে নেবে। সেটাই হোক শিশুদের মানসিক বিকাশের গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ। ’
প্যানেল আলোচনায় আরও বক্তব্য রাখেন- ইউনিলিভার বাংলাদেশের ফেব্রিক সলিউশন্স ক্যাটাগরি হেড জিশান বায়েজিদ রহমান, সেভ দ্য চিলড্রেন অর্গানাইজেশনের ডেপুটি ডিরেক্টর সৈয়দ মাতিউল আহসান, ডিটিএসএ-এর অ্যাডিশনাল সেক্রেটারি জাকির হোসেন মজুমদার প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১৯
এমএমআই/এসএ