শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) ভোরে মেঘনা নদীর তীব্র ভাঙনে মসজিদের একাংশ ভেঙে যায়। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে বাকি অংশও বিলীন হয়ে যায়।
মসজিদের ইমাম হাফেজ মাওলানা ইসমাইল হোসাইন জানান, ভোরে ভাঙনে মসজিদের মিম্বারসহ একাংশ নদীতে তলিয়ে যায়। দুপুরে অবশিষ্ট অংশ বিলীন হয়।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, বর্ষা মৌসুমের আগ থেকে ফলকন ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ডের মীরপাড়া এলাকা ভাঙনের মুখে পড়ে। গত দুই মাস থেকে স্থানীয়রা দাবি জানিয়ে এলেও ওই এলাকায় ভাঙন ঠেকাতে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। জরুরি ভিত্তিতে বালুভর্তি জিও ব্যাগ স্থাপন করা গেলে মসজিদসহ আশপাশের এলাকা রক্ষা হত। এদিকে, গত দুই সপ্তাহের ভাঙনে মসজিদ সংলগ্ন পাটওয়ারি বাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। মসজিদের উত্তর পাশে মীর বাড়ি, হাওলাদার বাড়ি ভাঙছে। পলোয়ান বাড়ি, সাদেক মাস্টার বাড়িসহ আশপাশের বাড়িগুলো ভাঙনের মুখে রয়েছে।
এছাড়া চর ফলকন ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়, ফলকন উচ্চ বিদ্যালয়, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র, ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র, মধ্যচর ফলকন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বহু সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা, ঘর-বাড়ি ও ফসলি জমি ভাঙন আশঙ্কায় রয়েছে।
স্থানীয় পালোয়ান বাড়ির বাসিন্দা শাহাদাত হোসেন বলেন, গত শুক্রবার মীরপাড়া জামে মসজিদে জুমার নামাজ আদায় হয়েছে। আজ শুক্রবার জুমার আগেই নদীতে মসজিদ বিলীন হয়ে গেছে। আশপাশের এলাকাও ভাঙছে। এমন পরিস্থিতিতে ভাঙন প্রতিরোধে মীরপাড়া এলাকায় বালুভর্তি জিও ব্যাগ স্থাপন করা জরুরি। এখনই ভাঙন ঠেকানো না গেলে আশপাশের সব বাড়ি-ঘর বিলীন হয়ে যাবে।
চর ফলকন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হারুনুর রশিদ বলেন, তার ইউনিয়নের সাত নম্বর ওয়ার্ড ভাঙনের কবলে পড়েছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি বাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। নদীগর্ভে চলে গেছে মসজিদ। ভাঙন থেকে ফলকন ইউনিয়ন রক্ষায় দ্রুত প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে হবে। এভাবে ভাঙতে থাকলে পুরো ইউনিয়ন নদীতে হারিয়ে যাবে। লক্ষ্মীপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মুসা বলেন, ভাঙন ঠেকাতে পর্যাপ্ত বরাদ্দ নেই। যে কারণে ভাঙন কবলিত সব এলাকায় জরুরি ভিত্তিতে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা সম্ভব হচ্ছে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৬, ২০১৯
এসআর/আরবি/