ঘটনার সঙ্গে জড়িত আনোয়ার হোসেন (৫৫) নামে এক ডাকাতকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে এক যাত্রী কুমিল্লার কুচাতলি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতে সিলেট থেকে বাসটি চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে ছেড়ে এলে পথে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার রাধিকা এলাকায় যাত্রী বেসে থাকা সাত জনের সংঘবদ্ধ ডাকাত দল এ ডাকাতির ঘটনা ঘটায়।
এদিকে আটক আনোয়ার হোসেনকে শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১টার দিকে বাসের লোকজন চাঁদপুর মডেল থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। আনোয়ার হবিগঞ্জ জেলার মাদবপুর উপজেলার হরেশপুর গ্রামের মৃত সরব আলীর ছেলে।
সততা পরিবহনের সুপারভাইজার আব্দুল ওহাব বাংলানিউজকে বলেন, সিলেট থেকে রাত ১১টায় বাসটি ছাড়ার সময় অন্যান্য যাত্রীদের সঙ্গে সংঘবদ্ধ ডাকাত দলের তিন জন এবং চার জন পৃথকভাবে টিকিট কেটে বাসে ওঠে। বাসটি ছাড়ার প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা পর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার রাধিকা নামক স্থানে এলে চালককে তার আসন থেকে জোর করে উঠিয়ে আটক হওয়া ডাকাত আনোয়ার হোসেন চালকের আসনে বসেন। ঠিক এই সময়ে তাদের সঙ্গে থাকা বাকি ৬ ডাকাত আগ্নেয়াস্ত্র এবং দেশীয় অস্ত্রের মুখে সব যাত্রীদের জিম্মি করে নগদ টাকা, মোবাইলসহ মূল্যবান জিনিসপত্র ডাকাতি করেন। ডাকাতদের হামলায় এ সময় পাঁচ যাত্রী কমবেশি আহত হয়। আহতদের সবাই কুমিল্লার যাত্রী। এর মধ্যে একজন গুরুতর আহত হওয়ায় তাকে কুচাতলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
বাসের চালক সালাউদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, যখন ডাকাতির ঘটনা সংঘটিত হচ্ছিলো, ঠিক সে সময় বাসের পেছন থেকে একটি মাইক্রোবাস বার বার হর্ণ দিয়ে আসছিলো। ডাকাত সদস্যরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজন মনে করে উজানিসা নামক স্থানে বাস থেকে দ্রুত লাফিয়ে পড়ে এবং চালকের আসনে বসা আনোয়ার জানালা দিয়ে লাফিয়ে পড়লে তার পা ভেঙে যায়। পরে যাত্রীরা নেমে ডাকাত বলে চিৎকার দিয়ে আনোয়ারকে আটক করে বাসে চাঁদপুরে নিয়ে আসে।
চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসিম উদ্দিন বাংলানিউজকে বলেন, ঘটনাটি যেহেতু অন্য জেলায়। সংশ্লিষ্ট থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে পরবর্তী আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আটক ডাকাতকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৭ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৯
আরএ