শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আক্তার হোসেন (৪০) নামে ওই সিএনজিচালককে এভাবে পেটানো হয়। তিনি রাজধানীর রায়েরবাগ এলাকার বাসিন্দা।
আহত আক্তার হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, অন্তঃসত্ত্বা এক রোগী নিয়ে ঢামেকের জরুরি বিভাগের সামনে আসি। পরে রোগীকে নামিয়ে আরেক রোগীর সঙ্গে কথা বলার সময় ওই আনসার সদস্য এসে বলেন, ‘দ্রুত এখান থেকে সিএনজি সরিয়ে ফেলো’। তখন ওই আনসার সদস্যকে আমি বললাম, ‘রোগী নিয়ে আমি চলে যাচ্ছি। ’ এক কথা দুই কথায় ওই আনসার সদস্য হাতে থাকা লাঠি দিয়ে আমার মুখে আঘাত করেন। সঙ্গে সঙ্গে আমার ঠোঁট ফেটে রক্ত ঝরতে থাকে।
কথা বলার সময়ই সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক আক্তারের ঠোঁট ফেটে রক্ত ঝরতে দেখা যায়।
তিনি বলেন, আমি সিএনজির ভেতরে বসা ছিলাম ড্রাইভিং সিটে। আমার দরজার ফাঁক দিয়ে লাঠি ঢুকিয়ে ঠোঁটে আঘাত করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সিএনজিচালকের চিৎকারে জড়ো হয় অনেক লোক। তাদের মধ্যে আব্দুর রহমান নামে একজন জানান, সিএনজিচালকের কোনো দোষ নেই। চালক শুধু বলেছেন, আমি প্যাসেঞ্জার নিয়ে চলে যাচ্ছি। এতেই আনসার সদস্য তাকে লাঠি দিয়ে আঘাত করেন।
পরে ঘটনাস্থলে ওই সিএনজি চালককে সান্ত্বনা দিতে দেখা যায় ঢামেকে নিয়োজিত থাকা আনসার বাহিনীর সহকারী প্লাটুন কমান্ডার (এপিসি) জয়নালকে।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, হাসপাতালের পরিচালকের নির্দেশে আছে জরুরি বিভাগে কোনো গাড়ি পার্কিং করবে না। যাই হোক যেটাই হয়েছে দুঃখজনক। চালকের মুখ থেকে রক্ত ঝরানো ঠিক হয়নি আনসার সদস্যের। তবে ঘটনার সময় ডিউটিতে ছিলেন আনসার সদস্য তসলিম।
একটি সূত্র জানায়, কোনো সিএনজিচালক ঢামেকে রোগী নিয়ে এসে পরে অন্য কোনো রোগী নিতে হলে আনসারদের ১০ টাকা করে দিতে হয়। টাকা যে চালক দেন, তার সঙ্গে চমৎকার ব্যবহার করা হয়। তবে যিনি টাকা দেন না, তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা হয়। এ ধরনের তৎপরতা দিনের বেলায় কম হলেও সন্ধ্যার পর থেকে সারারাত জমজমাট দেখা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ১৭২১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৯
এজেডএস/এইচএ/