শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নাবিকদের রাবনাবাদ চ্যানেলে নোঙ্গর করা নৌ জাহাজ সাঙ্গু থেকে নাবিকদের হস্তান্তর করা হয়।
নৌ জাহাজ সাঙ্গুর অধিনায়ক ইমতিয়াজ হোসাইনসহ উদ্ধাকারী নৌ সদস্যরা বিকেলে খুলনা নেভাল প্রভোস্ট মার্শালের মাস্টার চিফ প্যাটি অফিসার নাজমুল ইসলামের কাছে হস্তান্তর করেন।
তিনি নাবিকদের ডুবে যাওয়া কার্গো জাহাজ কোম্পানির লজিস্টিক ম্যানেজার নুরুজ্জামানের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন।
নাবিকরা হলেন- নিমজ্জিত জাহাজের ক্যাপ্টেন কাজী আবদুল্লাহ আল মুহিত (৩৫), প্রধান প্রকৌশলী হাসান রেজা খালিদ (৩২), চিফ অফিসার কাজী মাহমুদ আলম (২৮), প্রকৌশলী নূর আলম হিমেল (২৬), মাস্টার মোজাম্মেল হোসেন (২৪), বোসনমেট রফিক উল্লাহ (৫৯), এ্যাবল সীম্যান জুবায়ের হোসেন (২৪), অডিনারী সীম্যান সুজন মুখার্জী (২০), অডিনারী সীম্যান মো. সাহাবুদ্দিন (২১), সৈনিক শাহদাত হোসেন (৩৭), জমিরুল ইসলাম (৩০), শহিদ মিয়া (২৩), মো. রাজু (২৫) এবং আবদুর রশিদ (৫০)।
ডুবে যাওয়া জাহাজের ক্যাপ্টেন কাজী আবদুল্লাহ আল মুহিত বলেন, গত বৃহস্পতিবার আমরা পায়রা বন্দরে রাবনাবাদ চ্যানেলে আশ্রয় নিতে আসার পথে উত্তাল সাগরে ঢেউয়ের তাণ্ডবের শিকার হই। পায়রা সমুদ্র বন্দরের ‘ফেয়ারওয়ে বয়ার’ কাছাকাছি পৌঁছালে এমভি গলফ আরগোর একটি ইঞ্জিন বিকল হয়ে যায়। এসময় ঢেউয়ের তাণ্ডবে জাহাজটির একাংশ কাত হয়ে যায়। তখন জাহাজের সব নাবিক একটি কক্ষে আশ্রয় নিয়ে ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে নৌবাহিনীর সহায়তা চায়।
শুক্রবার যখন জাহাজটি ডুবে যায় তখন নৌবাহিনীর সাঙ্গু জাহাজের সদস্যরা দু’টি নৌজানের মাধ্যমে আমাদের ১৪ জন নাবিককে উদ্ধার করে চিকিৎসা সেবা দিয়ে সুস্থ্য করে তোলেন। আজ আমরা আমাদের পরিবারের সদস্যদের কাছে যাচ্ছি। তবে জাহাজটি উদ্ধার হওয়ার সম্ভাবনা বিষয় তিনি নিশ্চিত কিছু জানাতে পারেনি।
খুলনা নেভাল প্রভোস্ট মার্শালের মাস্টার চিফ প্যাটি অফিসার নাজমুল ইসলাম বলেন, নৌবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জাহাজটির দুর্ঘটনার সংবাদ পেয়ে গভীর সাগরে টহলের দায়িত্বে থাকা নৌজাহাজ সাঙ্গুর মাধ্যমে দ্রুত এমভি গলফ আরগো’র ১৪ নাবিককে উদ্ধার করে। শনিবার নাবিকদের গালফ অরিয়েন্ট সি ওয়েজ কোম্পারি লি. প্রতিনিধিদের কাছে হস্তান্তর সম্পন্ন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০১৮ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০১৯
এসএইচ