শনিবার (১২ অক্টোবর) বিকেলে ঢাকা-সিলেট মাহসড়কের শাস্তোগঞ্জের ওলিপুরে এ ঘটনা ঘটে। গ্রেফতার মানিক নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি উপজেলার কাবিলপুর গ্রামের নাজির মিয়ার ছেলে।
মাধবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কেএম আজমিরুজ্জামান বাংলানিউজকে জানান, হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলার কর্চা গ্রামের অশ্বিনী বৈষ্ণব তার ৮ বছর বয়সী মেয়েসহ পরিবারের অন্য সদস্যদের নিয়ে হবিগঞ্জ-ঢাকা রোডে চলাচলরত এনা পরিবহনের বাসযোগে (ঢাকা মেট্টো-ব-১৪-৭৮৫১) ঢাকা যাচ্ছিলেন।
পথিমধ্যে শায়েস্তাগঞ্জের ওলিপুর ক্রস করার পর সুপারভাইজার কৌশলে ওই শিশু ছাত্রীকে গাড়ির পেছনের আসনে নিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এ সময় মেয়েটি চিৎকারে তার বাবা ও বাসের অন্যান্য যাত্রীরা এগিয়ে গিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করেন এবং সুপারভাইজারকে উত্তম মধ্যম দেন।
অন্যদিকে তারা পুলিশকে খবর দিলে বাসটি মাধবপুরের ইটাখোলা এলাকায় পৌঁছামাত্রই পুলিশ ব্যরিকেড দিয়ে সুপারভাইজার মানিক মোল্লাকে আটক করে ও বাসটি জব্দ করে।
কেএম আজমিরুজ্জামান আরও জানান, মেয়েটির পিতা বাদী হয়ে হয়ে মনির মোল্লাকে আসামী করে মাধবপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। রবিবার (১৩ অক্টোবর) আসামী ও নির্যাতনের শিকার মেয়েটিকে আদালতে হস্তান্তর করা হবে। লম্পট মনিরকে আটকে বাসের হেলপার ও চালক সহযোগিতা করেছে।
মেয়েটির বাবা বাংলানিউজকে জানান, তিনি ঢাকার টঙ্গীর পাঠান বাড়ি এলাকায় স্বপরিবারে একটি ফুলের বাগানে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তার মেয়ে স্থানীয় একটি স্কুলের ৩য় শ্রেণীর ছাত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ০১০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৯
এমএমইউ