দেবী লক্ষ্মী দ্বিভূজা। তিনি বিষ্ণুর পত্নী, ছয়টি বিশেষ গুণের দেবী।
হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বিশ্বাস, পূর্ণিমা রাতে ভক্তের ডাকে সাড়া দিয়ে লক্ষ্মী মর্ত্যে নেমে আসেন। মানুষের দুয়ারে দুয়ারে গিয়ে প্রশ্ন করেন ‘কে জেগে আছো?’। তাই লক্ষ্মী পূজা ভক্তদের কাছে কোজাগরী পূজা নামেও পরিচিত। কোজাগরি অর্থ ‘কে জেগে আছো?’। রাত জেগে থাকা মানুষেরাই দেবীর ধন লাভের অধিকারী হন বলে ব্রতকারীরা সারারাত জেগে থাকবেন দেবীর ডাকের প্রতীক্ষায়। এদিন ভক্তকূলকে ধনধান্যে ভরিয়ে দিতে বাড়িতে বাড়িতে পূজা গ্রহণ করে লক্ষী। সে সন্তুষ্ট থাকলে সংসারে অর্থকষ্ট থাকবে না, সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য বাড়বে।
কোজাগরী লক্ষীপূজার মধ্য দিয়েই দুর্গতিনাশিনী দেবী দুর্গার বিদায়ের শোক ভুলে আবার আনন্দে মেতে উঠবেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। আশ্বিন মাসের পূর্ণিমা তিথিতে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে বিভিন্ন মঠ, মন্দির আর হিন্দু পরিবারের প্রতিটি ঘরে আজ অনুষ্ঠিত হবে লক্ষ্মীপূজা।
হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রায় সব শ্রেণী-পেশার মানুষ এ পূজা উদযাপন করে। এ পূজায় প্রয়োজন হয় ধানের শীষ, কাঁচা সুপারি, কলাপাতা, কলা গাছের খোল, আল্পনাসহ আরও নানা সামগ্রী। মঙ্গলঘট, ধানের ছড়ার সঙ্গে গৃহস্থের আঙ্গিনায় আজ শোভা পাবে চালের গুড়োর আল্পনায় মা লক্ষ্মীর পায়ের ছাপ। এ পা এঁকে রাখা হবে সব বাড়ির প্রবেশপথে। পুণ্যার্থীরা প্রার্থনা করবে, এসো মা লক্ষ্মী, বসো ঘরে, আমারই ঘরে থাকো আলো করে। ধনসম্পদের আশায় হিন্দু নারী ও পুরুষ পালন করবে উপবাস ব্রত। ফুল, ফল, মিষ্টি, নৈবেদ্য দিয়ে আরাধনা করবে মায়ের। পূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষে অঞ্জলি, প্রসাদ বিতরণ ও অতিথি আপ্যায়ন হবে।
এরই মাঝে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির, রামকৃষ্ণ মিশন ও মঠ মন্দির, রামসীতা মন্দির, পঞ্চানন্দ শিব মন্দির, গৌতম মন্দির, রাধা মাধব বিগ্রহ মন্দির, রাধা গোবিন্দ জিও ঠাকুর মন্দিরসহ বিভিন্ন মন্দির ও পুরান ঢাকার শাঁখারীবাজার, তাঁতীবাজার, সূত্রাপুর, ফরাশগঞ্জ, লক্ষ্মীবাজারসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় লক্ষ্মীপূজার আয়োজন চলছে।
বাংলাদেশ সময়: ০৬৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৯
জিসিজি/এইচজে