শনিবার (১২ অক্টোবর) দিবাগত রাতে বরিশাল নগরের হোটেল গ্র্যান্ড পার্কে আয়োজিত এক নৈশ ভোজ অনুষ্ঠানে এ সংবর্ধনা দেয়া হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে মেয়রের পক্ষ থেকে ভারতীয় হাই কমিশনারকে উপহার হিসেবে ‘সিম্বলি সিটি কি’ (নগরের প্রতীকী চাবি) ও জামদানি শাড়ি উপহার দেওয়া হয়।
এর আগে প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা ভারতীয় হাইকমিশনারকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান এবং ভারতীয় হাই কমিশনারও তাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে জনসংযোগ কর্মকর্তা জানান, নৈশ ভোজের এ আয়োজনে বরিশালের বিভাগীয় কমিশনার মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, বরিশাল রেঞ্জের ডিআইজ শফিকুল ইসলাম, বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. শাহাব উদ্দিন খানসহ নগর ভবনের কর্মকর্তা-কাউন্সিলর, স্থানীয় জেলা ও বিভাগীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গলী দাস বলেন, শিল্পায়নের জন্য বাংলাদেশকে গোটা বিশ্ব বেশ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। এদেশের অগ্রগতি বিশ্বকে আকর্ষণ করেছে। স্মরণকালের মধ্যে এখন বাংলাদেশ-ভারতের সু-সম্পর্ক বিরাজ করছে। দ্বি-পাক্ষিক আলোচনার মধ্য দিয়ে অনেক কঠিন বিষয়ে সমাধান করা হয়েছে।
বরিশালে এসে অভিভূত হয়েছেন বলে জানিয়ে উপস্থিতিদের তিনি বলেন, ‘অনেক গুণী ব্যক্তির এই দেশে এসে নিজেকে ধন্য মনে করছি। ’ বরিশাল নগরকে নিয়ে মেয়রের ভবিষ্যত পরিকল্পনার ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি।
জনসংযোগ কর্মকর্তা বেলায়েত হাসান বাবলু জানান, মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ ভারতীয় হাইকমিশনারকে বরিশালে আসার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। এসময় ভারতীয় হাই-কমিশনার শ্রীমতী রীভা গাঙ্গলি দাশের স্বামী প্রশান্ত কুমার দাশসহ ভারতীয় হাই কমিশনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এরআগে সন্ধ্যায় নগরের অশ্বিনী কুমার হলে বরিশাল বিভাগের চারুশিল্পীদের অংশগ্রহণে শারদীয় শিল্পকর্ম প্রদর্শনীতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গলী দাস। চারুকলা বরিশাল এবং মৃৎশিল্পী সম্মেলন ও সন্মাননা কমিটির আয়োজনে এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিটি মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ।
বাংলাদেশ সময়: ০৭১৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৯
এমএস/এমএমইউ