ঢাকা, সোমবার, ২০ মাঘ ১৪৩১, ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৩ শাবান ১৪৪৬

জাতীয়

যাত্রা করলো রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ফাউন্ডেশন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪২৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৯
যাত্রা করলো রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ফাউন্ডেশন

কিশোরগঞ্জ: শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি ও গরিব নারীদের সেলাই মেশিন দেওয়ার মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ নিজের নামে প্রতিষ্ঠিত ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম শুরু করলেন।

শনিবার (১২ অক্টোবর) বিকেলে কিশোরগঞ্জের হাওরের মিঠামইন উপজেলায় রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ অডিটরিয়ামে এক জমকালো অনুষ্ঠানে এ ফাউন্ডেশনের যাত্রা শুরু হয়।

এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে রাষ্ট্রপতি ইটনা, মিঠামইন ও অষ্টগ্রাম উপজেলার মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি ও ক্রেস্ট দেন।

পরে গরিব অসহায় নারীদের মধ্যে সেলাই মেশিন বিতরণ করেন।

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ বলেন, পড়ালেখা করে শুধু ভালো রেজাল্ট অর্জন করলেই চলবে না, মানুষের মতো মানুষ হতে হবে। আমি সবসময় তোমাদের পাশে থাকবো, সহযোগিতা করব। তবে তোমাদের দেশ ও হাওরের জন্য নিজেদের সর্বোচ্চটা দিতে হবে। দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে হবে। যেন তোমাদের নিয়ে গর্ব করতে পারি। তোমরা যদি তোমাদের সঠিকভাবে গড়ে তুলতে পার, তাহলে এ হাওর আর অবহেলিত থাকবে না। সম্পদে ও মননে উন্নত হয়ে দেশকে পথ দেখাবে।

রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ২০১৩ সালে স্বাধীনতা পদকের দুই লাখ টাকা দিয়ে এ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করা হয়। মানুষের সহযোগিতায় এ প্রতিষ্ঠানের ভিত্তি অনেকটাই মজবুত হয়েছে। আশা করি, এ ফাউন্ডেশন আর্থসামাজিক উন্নয়ন, দারিদ্র, কর্মসংস্থান, শিক্ষার অগ্রগতি, নারীর ক্ষমতায়নসহ সামাজিক অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখবে। অশাবাদ প্রকাশ করে তিনি বলেন, যে মহান কাজ শুরু হলো তা আমার মৃত্যুর পরও যুগের পর যুগ টিকে থাকবে। মিঠামইন থেকে শুরু করে জেলা এরপর দেশ এমনকি দেশের গন্ডি পেরিয়ে যাবে ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম। মূলত মানুষকে সাহস ও সহযোগিতা দিতেই এ ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।

রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ফাউন্ডেশনের সদস্য সচিব মো. আবদুল হক নূরুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন-কিশোরগঞ্জ-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও রাষ্ট্রপতির বড় ছেলে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক, লে জে মাহফুজুর রহমান, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. জিল্লুর রহমান প্রমুখ।  

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব শামীমুজ্জান, প্রেস সচিব মো. জয়নাল আবেদীন, জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. সারওয়ার মুর্শেদ চৌধুরী, পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মাশরুকুর রহমান খালেদ, পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট শাহ আজিজুল হক, মিঠামইন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আছিয়া আলমসহ এলাকার গণ্যমান্য লোকজন ও শিক্ষার্থীরা।

বাংলাদেশ সময়: ১০১৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৯
ওএইচ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।