রোববার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে র্যাব-১১ থেকে পাঠানো প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, শনিবার (১২ অক্টোবর) দিনগত রাতে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা অভিযান চালিয়ে নব্য জেএমবির সদস্য মেহেদী হাসান ওরফে মুরাদ (২৪) ও আমানউল্লাহ (৩৩) আটক করা হয়।
র্যাব জানায়, আটক দু’জনকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ ও অনুসন্ধানে জানা যায়, মেহেদীর বাড়ি নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানাধীন এলাকায়। ২০১০ সালে তিনি স্থানীয় একটি স্কুল থেকে এসএসসি ও ২০১২ সালে নারায়ণগঞ্জের একটি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। ২০১৬ সালে ঢাকার বেসরকারি একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি (টেক্সটাইল) সম্পন্ন করেন। ২০১৪ সালে কথিত এক বড় ভাইয়ের মাধ্যমে জেএমবিতে যোগ দেন মেহেদী। জেএমবিতে যোগদানের পর থেকে তিনি নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে জেএমবির সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করে আসছিলেন। মেহেদী অনলাইন থেকে উগ্রবাদী বই ও ভিডিও ডাউনলোড করে বিতরণসহ জেএমবির সদস্য সংগ্রহে নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দাওয়াতি শাখার কাজ করে আসছিলেন।
মেহেদীর মাধ্যমেই আমানউল্লাহ উগ্রবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে জেএমবিতে যোগ দেন। আমানউল্লাহর বাড়ি পিরোজপুরে কাউখালী উপজেলায়। তিনি বরিশালের একটি স্থানীয় মাদ্রাসা থেকে কামিল পর্যন্ত পড়াশুনা সম্পন্ন করেন। পরে নারায়ণগঞ্জের একটি মাদ্রাসায় শিক্ষকতা পেশায় চাকরি করতেন। এ চাকরির পাশাপাশি ছদ্মবেশে জেএমবির দাওয়াতি শাখার কার্যক্রম পরিচালনা করতেন তিনি। মাদ্রাসায় তার কক্ষটি আলাদা থাকায় তিনি জেএমবি সদস্যদের নিয়ে গোপন বৈঠক করতেন।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায়, দীর্ঘদিন যাবত তারা গোপনে সংগঠিত হয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবির কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলার ও জেল থেকে আটক জেএমবির সদস্যদের মুক্ত করার পরিকল্পনা এবং সংগঠনের জন্য তহবিল সংগ্রহ করে বিভিন্ন ধরনের নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করার অপতৎপরতা চালিয়ে আসছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩০৫ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৯
আরআইএস/