সড়কে পুলিশি হয়রানি, অবৈধ ও অনুমোদনহীন অটোরিকশা চলা এবং রাইড শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মগুলোর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে এই ধর্মঘট ডাক দেয় সংগঠনটি।
রোববার (১৩ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় সংগঠনটির নেতারা এ ধর্মঘটের ডাক দেন।
এতে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি সোহেল রানা, সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশীদ পিন্টুসহ অটোরিকশা মালিক ও শ্রমিক নেতারা।
সোহেল রানা বলেন, ঢাকা শহরে ১৫ হাজার ৬৯৬টি সিএনজি বাণিজ্যিকভাবে চলাচলের অনুমতি আছে, কিন্তু চলে প্রায় ৭০ হাজার। ঢাকা জেলা, গাজীপুর, মানিকগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ থেকে অবৈধ অটোরিকশা এসে এখানে চলে। চাঁদার বিনিময়ে এদেরকে চলতে দেয় কিছু পুলিশ সার্জেন্ট। আর হয়রানি করে আমাদের; আমরা যারা বৈধ অটোরিকশা চালাই। নানান অজুহাতে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা, ডাম্পিং-রেকারিং করা হয়। বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটিতেও (বিআরটিএ) আমাদের নানাবিধ হয়রানির শিকার হতে হয়।
রাইড শেয়ারিং নিয়ে অভিযোগ জানিয়ে মামুনুর রশিদ পিন্টু বলেন, রাইড শেয়ারিংয়ের নামে ওভাই, পাঠাও, উবারের অবৈধ গাড়ি সড়কে চলছে। উপরন্তু গ্যাসের মূল্য চার দফা বাড়লেও বাড়েনি আমাদের মিটারের ভাড়ার মূল্য। তাই আমরা আজ আন্দোলন ও ধর্মঘটের পথ বেছে নিয়েছি। এ ৭২ ঘণ্টা আমরা কেউ সিএনজি চালাবো না।
রাইড শেয়ারিং সার্ভিসের অনুমোদনপ্রাপ্ত গাড়িগুলোর তালিকা ট্রাফিক পুলিশের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করারও দাবি জানান তারা। এছাড়াও ভাড়ার মিটারে প্রথম দু’কিলোমিটার ৮০ টাকা, পরবর্তী প্রতি কিলোমিটারের ৩০ টাকা, ওয়েটিং চার্জ প্রতি মিনিট ৪ টাকা হারে এবং মালিকের দৈনিক জমা আনুপাতিক হারে বাড়ানোর দাবিও জানান মালিক-শ্রমিক নেতারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩,২০১৯
এসএইচএস/এএটি