রোববার (১৩ অক্টোবর) সকালে বুদ্ধের মূর্তির সামনে অর্ঘ্যদানের মধ্যদিয়ে জেলার শতাধিক বৌদ্ধ বিহারে দুই দিনব্যাপী এ কর্মসূচি শুরু হয়।
কর্মসূচির শুরুতেই পাপমোচনের উদ্দেশ্যে অষ্টশীল নিয়েছেন বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকজন।
কক্সবাজার বৌদ্ধ সুরক্ষা পরিষদের সভাপতি প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষু বাংলানিউজকে জানান, উৎসবের দ্বিতীয় দিন সোমবার (১৪ অক্টোবর) অষ্টপরিষ্কার দান, সংঘদান, পঞ্চশীল প্রার্থনা ও হাজার প্রদ্বীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে জগতের সব প্রাণীর সুখ এবং দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি কামনায় সমবেত প্রার্থনায় অংশ নেবেন বৌদ্ধ ভিক্ষু ও ধর্মাবলম্বীরা। পরে আতশবাজি প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।
সমবেত প্রার্থনার আয়োজন করা হয়েছে কক্সবাজার শহরের প্রাচীন অগ্গমেধা বৌদ্ধবিহার, পিটাকেট বৌদ্ধ বিহার, বাহারছড়া পুরাতন বৌদ্ধ বিহার, রামু কেন্দ্রীয় সীমা মহাবিহার, রাংকূট বনাশ্রম বৌদ্ধ বিহার, রামু মৈত্রী বিহার, লাল চিং, সাদা চিং, অপর্ণা চরণ বৌদ্ধ বিহারসহ শতাধিক বিহারে।
প্রজ্ঞানন্দ ভিক্ষু বলেন, গত ৩ অক্টোবর বাংলাদেশি বৌদ্ধদের উপসংঘরাজ ও রামু কেন্দ্রীয় সীমা মহা বিহারের অধ্যক্ষ পণ্ডিত সত্যপ্রিয় মহাথেরর প্রয়াণে রামুতে এখনও শোকাবহ পরিবেশ বিরাজ করছে। যে কারণে হয়তো এবারে ততটা উৎসবের আমেজ থাকবে না।
প্রবারণার মূল আকর্ষণ জাহাজ ভাসানো উৎসবের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে বলেও জানান তিনি। সোমবার রামুর বাঁকখালী নদীতে অনুষ্ঠিত হবে ঐতিহ্যবাহী জাহাজ ভাসানো উৎসব।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৯
এসবি/কেএসডি/ওএইচ/