রোববার (১৩ অক্টোবর) রাজধানীর শিশু একাডেমিতে শিশু অধিকার সপ্তাহ ও শিশু অধিকার সনদের ৩০ বছরপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত সংলাপে এসব কথা বলেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক। সংলাপটি যৌথভাবে আয়োজন করে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি ও সেভ দ্য চিল্ড্রেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, ক্যাম্পাসে র্যাগিং অপরাধ। এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে প্রতিবাদ আসতে হবে, অভিযোগ করতে হবে। আমাদের সময়ও এ ধরনের র্যাগিং হতো। যারা একটু শক্তিশালী ছিল, যারা প্রতিবাদ করতো, তাদের র্যাগ দেওয়া হতো না। নিরীহরা প্রতিবাদ না করলে তাদের র্যাগ দেওয়া হতো। তবে, প্রতিবাদ করলে কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেবে। ব্যবস্থা না নিলে আমরা সেসব প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।
তিনি বলেন, ফাহাদের ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না। এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কেউ মাফ পাবে না। আমরা চেষ্টা করছি এ ধরনের সব ঘটনায় মামলাগুলোর বিচার দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ করতে। ইতোমধ্যে মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত হত্যার বিচার শেষ, এখন রায়ের অপেক্ষায় আছে। আগামী ২৪ অক্টোবর রায় হবে। শিশু রাজন হত্যার বিচার হয়েছে। ফাহাদ হত্যা মামলাটিও সর্বোচ্চ গুরুত্ব পাবে।
আনিসুল হক বলেন, ফাহাদের ভাই যদি ঢাকা কলেজে পড়তে অনিরাপদ মনে করেন, তাহলে আমরা তাকে নিরাপত্তা দিতে প্রস্তুত। তাকে সব ধরনের নিরাপত্তা দিতে সবসময় তার পাশে থাকবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আমরা মনে হয়, এত বড় ঘটনা, এত বড় আঘাতের কারণে হয়তো এখনই ঢাকায় আসতে মানসিকভাবে প্রস্তুত নয় ফায়াজ।
আবরার ফাহাদের একমাত্র ছোট ভাই আবরার ফায়াজ ঢাকা কলেজের একাদশ শ্রেণিতে পড়াশোনা করছেন।
অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, শিশু একাডেমি ও সেভ দ্য চিল্ড্রেনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৫০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৩, ২০১৯
ইএআর/এসএ/একে