পরে চিৎকার শুরু করলে মুখ চেপে ধরে এসব কথা কাউকে বলতে নিষেধ করে জ্বিন-ভূতের ভয় দেখান হুজুর। তবুও বাড়ি ফিরে সবকিছু মায়ের কাছে বলে দেয় ওই মাদ্রাসাছাত্রী।
সরেজমিনে ওই এলাকায় গিয়ে ভিকটিম শিশুর পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রকৃত অর্থে মাদ্রাসার শিক্ষক রকিব উদ্দিন শিশুটিকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। তবে শিশুর চিৎকারে পিছু হটেন হুজুর রাকিব। এক পর্যায়ে শিশুটি বাড়ি ফিরলে বিষয়টি জানার পর তাৎক্ষণিকভাবে তার মা মাদ্রাসায় ওই শিক্ষকের কাছে গিয়ে প্রতিবাদ জানান, জবাব চান ন্যক্কারজনক এ ঘটনার। তবে স্থানীয় গ্রাম্য মাতব্বররা ঘটনার মীমাংসার নামে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন।
এমনকী, সোমবার (২৮ অক্টোবর) সকালে স্থানীয় সালিশ বৈঠকে রাকিব ঘটনা স্বীকার করেন। তবে ততক্ষণে বিষয়টি স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জের কানে পৌঁছালে বিকেলেই তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে যশোর চাঁদপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিলন কুমার মন্ডল বাংলানিউজকে বলেন, শিশুটিকে ওই মাদ্রাসার শিক্ষক ধর্ষণের চেষ্টা করেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা রাসেল বাদী হয়ে মামলা করেছেন। মঙ্গলবারই তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে।
তবে আটক মাদ্রাসার শিক্ষক রকিব উদ্দিন বাংলানিউজকে জানান, তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার। তার নামে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, শিশুর শ্লীলতাহানির ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৯, ২০১৯
ইউজি/এএ