ঢাকা, রবিবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

নদী খননে তৃণমূলের কৃষি আরো উচ্চতায় পৌঁছাবে

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২৩০৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৯
নদী খননে তৃণমূলের কৃষি আরো উচ্চতায় পৌঁছাবে

চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গার মাথাভাঙ্গা নদীসহ ৫টি নদী খননের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। ৬৪টি জেলার অভ্যন্তরীণ নদী খনন প্রকল্পের আওতায় এ কাজ করা হচ্ছে। প্রকল্প বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে বুধবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে চুয়াডাঙ্গার চিত্রা নদী খনন কাজের উদ্বোধন করা হয়। জেলার দামুড়হুদা উপজেলার গোপালখালী গ্রামে নদীর মাটি কেটে খনন কাজের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগর টগর। 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার, পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান আলী মুনসুর বাবু ও দর্শনা পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান ও পানি উন্নয়ণ বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী জাহেদুল ইসলাম।  

সংসদ সদস্য হাজী আলী আজগর টগর বলেন, বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ।

তাই সারা দেশে নদীগুলোকে বাঁচানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। কারণ বর্তমান সরকার উন্নয়নে বিশ্বাসী। দেশের নদীগুলো সচল হলে তৃণমূলের কৃষি ঘুরে দাঁড়াবে। তাই প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ৬৪টি জেলার অভ্যন্তরীণ নদী খনন প্রকল্পের আওতায় চুয়াডাঙ্গার ৫টি নদী খনন করা হবে। চিত্রা নদী খনন সেই উন্নয়নের ধারাবাহিকতার অংশ।  

জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার বলেন, সরকারের নদী খনন প্রকল্পটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত। কারণ নদীগুলো বাঁচলে বাঁচবে পরিবেশ, রক্ষা হবে জীববৈচিত্র্য। তৃণমূলের কৃষি নতুন উচ্চতায় উন্নীত হবে। আর এ কারণে নদী বাঁচাতে দখলকারী কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা।  

চুয়াডাঙ্গার পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম বলেন, জেলার মধ্য দিয়ে মোট ৫টি নদী প্রবাহিত। এর মধ্যে মাথাভাঙ্গা প্রধান নদী। চিত্রাসহ অন্য চারটি নদীর নদীর মূল উৎস মাথাভাঙ্গা। তাই ছোট চারটির মত মাথাভাঙ্গা নদীও অগ্রধিকার ভিত্তিতে খনন দরকার।  

চুয়াডাঙ্গা পানি উন্নয়ন বোর্ডরে নির্বাহী প্রকৌশলী জাহেদুল ইসলাম জানান, প্রকল্পের ১ম পর্যায়ে চুয়াডাঙ্গার মধ্য নদী বয়ে যাওয়া চিত্রা নদীর ২৩ কিলোমিটার খনন করা হবে। এর মধ্যে চুয়াডাঙ্গা সদরে ১৮ কি. মিটার ও দামুড়হুদা উপজেলাতে ৫ কি. মিটার। এই ২৩ কিমি. নদী খননের প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ২৩ কোটি টাকা। ২০২০ সালের ২০ জুনের মধ্যে খননের কাজ শেষ করা হবে।  

বাংলাদেশ সময়:  ১৯০৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ৩০, ২০১৯
এসএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।