সওজ সূত্রে জানা যায়, শিবপুর ও মনোহরদী উপজেলার ইটাখলা-মঠখলা আঞ্চলিক মহাসড়কের ইটাখোলা থেকে মনোহরদী ও পলাশ উপজেলার পাঁচদোনা মোড় থেকে চরসিন্ধু সড়কের দুই পাশে দাঁড়িয়ে আছে প্রায় চারশ’ মৃত-অর্ধমৃত গাছ। জেলা পরিষদ এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের লাগানো শিশু প্রজাতির এসব গাছ অনেকদিন আগেই মারা গেছে।
গত জুলাইয়ে শিবপুর সরকারি শহীদ আসাদ কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র মাহমুদুল হাসান খান কলেজে থেকে বাড়ি ফেরার সময় বান্দারদিয়া এলাকায় একটি মরা গাছ ভেঙে হঠাৎ তার মাথার উপর পড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি।
শিবপুরের বাজনাবর এলাকার বাসিন্দা জয়নাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ইটাখলা-মঠখলা আঞ্চলিক মহাসড়ক সবসময় ব্যস্ত থাকে। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন বহু গাড়ি ঢাকায় আসা-যাওয়া করে। কিন্তু, মরা গাছের কারণে যানবাহন ও পথচারীদের আতঙ্কের মধ্য দিয়ে সড়ক দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। এসব গাছ শিগগিরই কেটে নেওয়া উচিত।
ইটাখলা-মঠখলা আঞ্চলিক মহাসড়ক দিয়ে চলাচলকারী বাসচালক আলম মিয়া বাংলানিউজকে বলেন, যখন-তখন গাছ ও গাছের ডালপালা ভেঙে পড়ায় ঝুঁকি নিয়ে আমাদের গাড়ি চালাতে হচ্ছে। গাছ ভেঙে সড়কের ওপর পড়ায় বন্ধ হয়ে যাচ্ছে যানচলাচল। বিশেষ করে রাতের অন্ধকারে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে থাকা গাছগুলো যেন মরণফাঁদ। মরা গাছের কারণে দুর্ঘটনা ঘটায় দ্রুত এসব গাছ কেটে নেওয়ার দাবি জানাই।
মনোহরদী উপজেলার হাতিরদিয়া এলাকার বাসিন্দা আকবর আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, সড়ক দিয়ে চলাচল করতে ভয় লাগে। কখন জানি মরা গাছ ভেঙে আমাদের উপর পড়ে! আমরা শিগগিরই সড়কের পাশে মরা গাছগুলো কেটে সেখানে বিভিন্ন উপকারী গাছ লাগানোর জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই।
এ বিষয়ে নরসিংদী সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোফাজ্জল হায়দার বাংলানিউজকে বলেন, সড়কের পাশে মরা গাছগুলোর মধ্যে কিছু গাছ জেলা পরিষদের, আর বাকি গাছ সড়ক ও জনপদ বিভাগের মালিকাধীন। ইতোমধ্যে সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের অনুমোদন নিয়ে শিগগিরই মরা গাছগুলো কাটার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। টেন্ডারের জন্য এরই মধ্যে গাছগুলো জরিপ করা হয়েছে। মরা গাছের জায়গায় নতুন করে গাছের চারা রোপণেরও উদ্যোগ নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৯
একে