ঢাকা, রবিবার, ৫ মাঘ ১৪৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮ রজব ১৪৪৬

জাতীয়

দাবি আদায়ে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দিলেন পাটকল শ্রমিকরা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১৪৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২, ২০১৯
দাবি আদায়ে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সময় দিলেন পাটকল শ্রমিকরা শ্রমিক জনসভায় এ হুঁশিয়ারি দেন নেতারা

খুলনা: আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে দাবি বাস্তবায়নের জন্য সময় বেঁধে দিয়েছেন শ্রমিক নেতারা। জাতীয় মজুরি কমিশন বাস্তবায়ন, পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) সিদ্ধান্ত বাতিল, বকেয়া মজুরিসহ ১১ দফা দাবি তাদের। এই সময়ের মধ্যে দাবি বাস্তবায়ন করা না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তারা।

শুক্রবার (০১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় খুলনা মহানগরীর খালিশপুর পিপলস গোলচত্বরে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ-নন সিবিএ সংগ্রাম পরিষদের ব্যানারে অনুষ্ঠিত শ্রমিক জনসভায় এ হুঁশিয়ারি দেন নেতারা।  

জনসভায় সভাপতিত্ব করেন রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল সিবিএ-নন সিবিএ সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক সরদার আব্দুল হামিদ এবং পরিচালনা করেন খালিশপুর জুট মিলের সিবিএ’র সভাপতি আবু দাউদ দ্বীন মোহাম্মদ।

জনসভায় বক্তারা বলেন, আজ দেশে রোহিঙ্গারা খেতে পারছে, অথচ পাটকল শ্রমিকরা না খেয়ে পরিবার নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছে। শ্রমিক সন্তানদের স্কুল-কলেজে লেখাপড়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। এছাড়া সরকারি কর্মচারীদের পে-কমিশন বাস্তবায়ন হয়েছে। কিন্তু শ্রমিকদের মজুরি কমিশন দীর্ঘ ৬ বছরের বাস্তবায়ন করা হয়নি। এ নিয়ে আন্দোলন করতে গেলে শ্রমিক নেতাদের নামে মামলা দিয়ে আন্দোলনকে ভিন্নখাতে ঠেলে দিচ্ছে। শ্রমিকরা অর্ধাহারে-অনাহারে রয়েছে।  

বক্তারা আরও বলেন, দীর্ঘদিন শ্রমিকদের মজুরি কমিশনের দাবি পূরণ না হওয়ায় শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। এরপর মিলে কাজ করেও সপ্তাহের মজুরি দিতে বিলম্ব করছে। প্রত্যেকটি মিলে শ্রমিকদের ৭/৮ সপ্তাহের মজুরি বকেয়া আছে, ফলে শ্রমিকরা চরম ক্ষিপ্ত। শ্রমিক স্বার্থ ব্যাঘাত হলে সেখানে প্রতিবাদসহ আন্দোলন করা হবে। এ অবস্থায় শ্রমিকদের সব দাবি আগামী ১৫ নভেম্বরের মধ্যে মেনে নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আল্টিমেটাম দেন শ্রমিক নেতারা। অন্যথায় কঠোর কর্মসূচি ঘোষণার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় জনসভা থেকে।

জনসভায় বক্তৃতা করেন সংগ্রাম পরিষদের সদস্য সচিব ও প্লাটিনাম জুট মিলের সিবিএ’র সভাপতি শাহানা শারমিন, করিম জুট মিলের সাবেক সভাপতি মো. আবুল হোসেন, আমিন জুট মিলের সভাপতি মো. আরিফুর রহমান, রাজশাহী জুট মিলের সভাপতি মো. জিল্লুর রহমান, জেজেআই জুট মিলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক হারুন অর রশিদ মল্লিক, আমিন জুট মিলের সাধারণ সম্পাদক মো. মোস্তফা, ইস্টার্ন জুট মিলের সাধারণ সম্পাদক মো. আলাউদ্দিন, প্লাটিনাম জুট মিলের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ন কবির খান, স্টার জুট মিলের সভাপতি বেল্লাল মল্লিক, সাধারণ সম্পাদক আ. মান্নান, আলিম জুট মিলের সভাপতি সাইফুল ইসলাম লিটু, স্টার জুট মিলের সহ-সম্পাদক আবু হানিফ, দৌলতপুর জুট মিলের আহ্বায়ক মো. আক্তার আলী, ইউ.এম.সি জুট মিলের সিবিএ নেতা জাকির হোসেন, আলমগীর খন্দকার, মো. আল মামুন, বেল্লাল হোসেন, রাজশাহী জুট মিলের সিবিএ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান, লতিফ বাওয়ানি জুট মিলের সিবিএ নেতা মো. সুলতান মৃধা, প্লাটিনাম জুট মিলের সিবিএ নেতা বেল্লাল হোসেন, খালিশপুর জুট মিলের সিবিএ নেতা মনির হোসেন প্রমুখ।

বাংলাদেশ সময়: ২১৪৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০১, ২০১৯
এমআরএম/জেডএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।