শনিবার (০২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। আম্বিয়া খাতুন উপজেলার জানখালী গ্রামের হেমায়েত তালুকদারের স্ত্রী।
নিহত ওই বৃদ্ধার স্বামী হোমায়েত তালুকদার বাংলানিউজকে জানান, আমার তিন ছেলের মধ্যে ছোট ছেলে শহীদের সঙ্গে আমরা স্বামী-স্ত্রী একত্রে থাকা-খাওয়া করি। বড় ছেলে জলিল ও মেঝ ছেলে জহির তালুকদার তাদের মতো করে পৃথক বসবাস করে। আজ শনিবার (০২ নভেম্বর) সকালে আমি ছোট ছেলে শহিদকে নিয়ে সুপারি পাড়ার জন্য বাগানে যাই। তখন বড় ছেলে জলিল তার স্ত্রী মাহমুদা বেগম, পুত্র ছোবাহান ও সরোয়ার সুপারি পাড়তে বাধাঁ দেয়। এসময় তারা আমার সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায় আমার হাতে জলিল কামড় দেয়। আমার চিৎকার শুনে আমার স্ত্রী আম্বিয়া বেগম আমাকে রক্ষা করতে এগিয়ে এলে তারা তার ওপর হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সে সন্ধ্যার দিকে তার মৃত্যু হয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক (আর এমও) মো. রফিকুল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, ওই নারী ও তার স্বামী হামলায় আহত হয়েছেন বলে সকালে তারা উভয়েই চিকিৎসা নিতে উপজেলা স্বস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হন। কিন্তু বৃদ্ধার শরীরে দৃশ্যমান কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায় নি। তবে ময়নাতদন্ত শেষে তার মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত করা যাবে।
মঠবাড়িয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাসুদুজ্জামান বৃদ্ধার নিহতের খবর নিশ্চিত করে বাংলানিউজকে বলেন, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০২২৭, নভেম্বর ০৩, ২০১৯
এমএমইউ