গত ৩০ অক্টোবর উদ্ধারের পর এই অভিবাসীদের ত্রিপলীর উপশহরে অবস্থিত দুইটি ডিটেনশন সেন্টারে হস্তান্তর করা হয়। পরে দেশটির অবৈধ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে ডিটেনশন সেন্টার দুইটি পরিদর্শন করেছেন লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা।
রোববার (০৩ নভেম্বর) দূতাবাসের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে, গত ৩১ অক্টোবর লিবিয়া দূতাবাসের একটি টিম ডিটেনশন সেন্টার পরিদর্শন করেছে। এ সময় সেখানে বন্দি ৪৩ বাংলাদেশি নাগরিকের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়। একই সঙ্গে তাদের প্রয়োজনীয় আইনি সহায়তারও ব্যবস্থা করা হয়।
তবে আরেকটি ডিটেনশন সেন্টারের কাছাকাছি কয়েকটি জায়গায় বিমান হামলার ফলে নিরাপত্তাজনিত কারণে দূতাবাস থেকে ওই সেন্টার পরিদর্শন করা সম্ভব হয়নি।
তবে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দ্রুততম সময়ের মধ্যে শহরের অপর ডিটেনশন সেন্টার পরিদর্শন করে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ বন্দি বাংলাদেশিদের সঙ্গে দেখা করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে বলেও ওই প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
লিবিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্র বলছে, ভূমধ্যসাগর থেকে উদ্ধার হওয়া ১৭১ বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে পাঠানোসহ সব ধরনের আইনগত সহায়তা দেওয়ার চেষ্টা চলছে। এ বিষয়ে লিবিয়ার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সঙ্গেও সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রেখে চলেছে দূতাবাস কর্তৃপক্ষ।
উদ্ধার অভিবাসীদের বিষয়ে যেকোনো তথ্যের জন্য দূতাবাসের মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করতে অনুরোধ করা হয়েছে। নম্বর দুটি হচ্ছে- +২১৮৯১৬৯৯৪২০২ এবং +২১৮৯১৬৯৯৪২০৭।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৩, ২০১৯
টিআর/এমএ