রোববার (২৪ নভেম্বর) গাইবান্ধা সদর থানায় ভিকটিম নিজেই বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন। সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেলে বাংলানিউজকে বিষয়টি জানান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মো. শাহারিয়া।
আসামি সুমন মণ্ডল সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের আরিফ খাঁ-বাসুদেবপুর গ্রামের মোতাল্লেব মিয়ার ছেলে এবং উজ্জল মিয়া একই গ্রামের বাসিন্দা।
ওসি খান মো. শাহারিয়া জানান, ২২ নভেম্বর রাতে বাড়ির সামনে থেকে ওই গৃহবধূকে মোটরসাইকেলে করে তুলে নিয়ে যায় সুমন মণ্ডল ও তার সহযোগীরা। তাকে পলাশবাড়ীর একটি বাসায় নিয়ে গিয়ে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে অচেতন করে এবং রাতভর পালাক্রমে গণধর্ষণ করে অভিযুক্তরা।
ধর্ষণের পর সকালে অভিযুক্তরা গৃহবধূকে ঘটনা প্রকাশ না করতে চাপ দিয়ে মোবাইলে বিভিন্ন কথা রেকর্ড করে। পরে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে আবারও মোটরসাইকেলে করে একটি অজ্ঞাত জায়গায় গৃহবধূকে রেখে পালিয়ে যায় তারা। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন ওই গৃহবধূকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
ওসি আরও জানান, ধর্ষণের অভিযোগ এনে সুমন মণ্ডল, তার সহযোগী উজ্জল ও অজ্ঞাতপরিচয় একজনকে আসামি করে রোববার দুপুরে সদর থানায় মামলা করেন নির্যাতিত গৃহবধূ। আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ তৎপর রয়েছে। নির্যাতনের শিকার নারীর মেডিক্যাল পরীক্ষা সদর হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে।
ওই নারীর স্বজনদের অভিযোগ, আগে থেকেই গৃহবধূকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিল সুমন মণ্ডল। কিন্তু এতে সাড়া না পেয়ে ক্ষেপে যায় সে। এর মধ্যে ২২ নভেম্বর রাতে স্বামীর সঙ্গে ঝগড়া হওয়ায় রাগ-অভিমানে বাড়ির বাইরে বের হন ওই গৃহবধূ। তখনই তাকে মোটরসাইকেলে করে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায় সুমন ও তার সহযোগীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৬, ২০১৯
এইচএ/