রাজশাহী: রাজশাহী সিটি করপোরেশনের অফিস সহকারী ও কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক তাজ মুরাদ লিটনের (৩০) বিরুদ্ধে রাজশাহী কলেজ পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীকে (২২) বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় মামলা দায়েরের পর লিটনকে গ্রেফতার করে রোববার (৪ অক্টোবর) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিছে পুলিশ।
ধর্ষণের শিকার ওই শিক্ষার্থী রাজশাহী কলেজের স্নাতকের শিক্ষার্থী। আর গ্রেফতার লিটনের বাড়ি রাজশাহী মহানগরীর তালাইমারী বাদুড়তলা এলাকায়। তার বাবার নাম মো. মোশারফ।
ভুক্তভোগীর দাবি, এক বছর আগে ওই কলেজ শিক্ষার্থী রাজশাহী সিটি করপোরেশনে একটি বিশেষ কাজের জন্য যান। সেখানে লিটনের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। এরপর থেকে লিটনের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরে বিভিন্ন সময়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে লিটন একাধিকবার তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ৩ অক্টোবর লিটন ওই শিক্ষার্থীর বড় বোনের বাসায় যান। এ সময় ওই শিক্ষার্থীর বোন খাবার কিনতে বাসার বাইরে যান। তিনি ফিরে এসে দেখেন ঘরের দরজা ভেতর থেকে বন্ধ। পরে তিনি তাদের আপত্তিকর অবস্থায় হাতেনাতে ধরে ফেলেন। এ সময় তাদের চিৎকার শুনে প্রতিবেশিরাও জড়ো হন। পরে লিটনকে তার বোনকে বিয়ের কথা বলেন। কিন্তু লিটন পরিবারের সবাইকে জানিয়ে পরে বিয়ে করবে বলে ভুক্তভেগীর বোনকে জানান। কিন্তু তারা এতে রাজি না হয়ে মতিহার থানায় খবর দেন। পরে ঘটনাস্থল থেকে লিটনকে আটক করে পুলিশ।
রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিদ্দিকুর রহমান বাংলানিউজকে বলেন, ভুক্তভোগী ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে তাৎক্ষণিকভাবে লিটনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। আর কলেজছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৫১ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৪, ২০২০
এসএস/আরআইএস