ঢাকা, রবিবার, ২১ আশ্বিন ১৪৩১, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

জাতীয়

রাজশাহীতে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি, কমেনি দুর্ভোগ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯৪৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৬, ২০২০
রাজশাহীতে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি, কমেনি দুর্ভোগ

রাজশাহী: রাজশাহীর বাগমারায় উপজেলায় ধীরে ধীরে বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে। ইতোমধ্যেই বেশ কিছু এলাকার পানি নেমে গেছে।

পুরোপুরি পানি নামতে আরো কয়েকদিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তবে পানি কমায় ধীরে ধীরে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও কমেনি জনদুর্ভোগ।

গত দুই সপ্তাহ ধরে টানা বর্ষণে বাগমারা উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়। বন্যায় ১৬ টি ইউনিয়ন ও দুইটি পৌরসভার মধ্যে ১৩ টি ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামে বন্যার পানি ঢোকে পড়ে কাঁচা বাড়িঘর ভেঙে পড়ে মানুষের দুর্ভোগ চরমে উঠে। বন্যা কবলিত ১৩টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার কয়েক হাজার মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে অন্যত্রে আশ্রয় নেয়।

টানা বৃষ্টিপাত ও নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে বাগমারার ১৬টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভার মধ্যে ১১টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভার প্রায় লক্ষাধিক মানুষ বন্যায় পানিবন্দি হয়ে পড়েন। এরমধ্যে ৬টি ইউনিয়নের প্রায় ৩ হাজার ২০০ হেক্টর জমির ফসলহানি হয়েছ। ডুবে গেছে রাস্তা-ঘাট, পানবরজ, ফসলের জমি। ভেসে গেছে পুকুরের কোটি কোটি টাকার মাছ।

পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, নওগাঁর আত্রাই নদীর বাঁধ ভেঙে বাগমারায় ফকিরনী ও বারানই নদীর পানি বৃদ্ধি পায়। ফকিরনী নদীর পানি প্রবাহের ধারণ ক্ষমতা কম হওয়ায় উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নের খাল, বিল ভরে লোকালয়ে পানি ঢোকে পড়ে। নাটোরের সিংড়াই বেড়িবাঁধ ভাঙার কারণেই

দু'দিন ধরে বাগমারায় বন্যা পরিস্থিতির ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে।

এদিকে, বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও জনদুর্ভোগ এখনো কমেনি। বন্যাদুর্গত এলাকার জনসাধারণ এখনও তাদের বসতবাড়িতে ফিরে যেতে পারেনি। কেউ কেউ বসতবাড়ি ফিরে গেলেও বসবাসের উপযোগী না হওয়ায় বাড়ির উঠানে পলিথিন টাঙ্গিয়ে বসবাস করার চেষ্টা করছে।

বানভাসী মানুষের খাবার সংকটের পাশাপাশি বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে তারা পেটের পিড়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের পাশাপাশি উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকেও বানভাসী মানুষের খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে।

জানতে চাইলে বাগমারা উপজেলা চেয়ারম্যান অনিল সরকার বলেন, পানিতে ডুবে যাওয়ায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে রাস্তার। মাটির তৈরি অনেক ঘর বাড়ি ধসে পড়েছে। কোটি কোটি টাকার মাছ ভেসে গেছে। পান বরজ, ধানসহ সবজি খেত ডুবে গেছে।

তিনি আরও বলেন, এখন পর্যন্ত ৫৫ টন চাল বরাদ্ধ হয়েছে। তবে এটা যথেষ্ট নয়। আরো প্রয়োজন। যেসব ঘর বাড়ি ধসে গেছে তার তালিকা প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে। কেউ ঘরহারা থাকবেন না।

বাগমারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শরিফ আহম্মেদ বলেন, বন্যাদুর্গত এলাকায় সরকারি ত্রান সামগ্রী বিতরণের কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘরের তালিকা তৈরি করে তাদের পুনর্বাসনের কার্যক্রম শুরু করা হবে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯৪৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৬, ২০২০
এসএস/এমএমএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।