ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

জাতীয়

‘রয়েল চিটিং ডিপার্টমেন্ট’, ধনীরাই যার টার্গেট

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৩১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২০
‘রয়েল চিটিং ডিপার্টমেন্ট’, ধনীরাই যার টার্গেট

ঢাকা: অভিজাত এলাকায় ফ্ল্যাট বাড়ি ভাড়া নিয়ে অফিস চালায় একটি প্রতারক চক্র। চক্রের নাম দেওয়া হয়েছে রয়েল চিটিং ডিপার্টমেন্ট বা আরডিসি।

এ চক্রের সদস্যরা অভিনব পন্থায় বিভিন্ন অবসরপ্রাপ্ত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা অথবা বড় ব্যবসায়ীদের টার্গেট করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশান, ভাটারা ও ভাষানটেক এলাকায় অভিযান চালিয়ে এ প্রতারক চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।

এ সময় তাদের কাছ থেকে প্রতারণায় ব্যবহৃত একটি ব্রিফকেস, ফাইলসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম এবং প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেওয়া ৮৫ লাখ টাকা উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন-শহিদুল ইসলাম ওরফে শহীদ চেয়ারম্যান (৫২), মোহাম্মদ আলী (৫৯), সুমন আহমেদ (৩৩), তোফায়েল হোসেন রতন (৬০) ও এম আজাদ (৪৮)।

ডিবি জানায়, প্রায় ২০ বছর ধরে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রতারণা কার্যক্রম চালিয়ে আসছে এ চক্রটি। এমনকি সাবেক এক সচিবসহ বিভিন্ন জনের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এ চক্রের সদস্যদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও রয়েছে।

ডিবি গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার মশিউর রহমান জানান, চক্রের সদস্যরা প্রথমে ছদ্মনাম ধারণ করে ভালো পোশাক এবং চালচলন দেখিয়ে অভিজাত এলাকায় বাসা অথবা ফ্ল্যাট ভাড়া নেন। তাদের একটি গ্রুপ বিভিন্ন পেশাজীবীকে টার্গেট করে। টার্গেটের শীর্ষে থাকেন ঊর্ধ্বতন পর্যায়ের অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অথবা কোনো বড় ব্যবসায়ী, যারা প্রতিনিয়ত টাকা-পয়সা লেনদেন করেন।

অনেক সময় তারা বাসা ভাড়া নেওয়ার নাম করে কারও বাড়িতে যান। কখনও কখনও বড় ধরনের ব্যবসার কথা জানিয়ে সেখানে বিনিয়োগ করার জন্য লোকজনকে আমন্ত্রণ জানান। ভাড়া করা অফিসে টাগের্ট করা লোকদের নিয়ে ভিকটিমদের আকৃষ্ট করেন।

প্রতারকদের মধ্যে কেউ কেউ নিজেকে বিদেশি বড় ব্যবসায়ী পরিচয় দেন। যাদের প্রলোভনে অনেকে বিনিয়োগ করে সর্বস্ব হারান। এদিকে, চক্রটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার পরপরই ফোন বন্ধ করে অফিস ছেড়ে পালিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ঘটনা নজরে আসার পর ডিবি গুলশান বিভাগ এরই মধ্যে প্রায় আটটি অফিস চিহ্নিত করে অভিযান চালায়। এসব অভিযানে গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় ৯৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ১৪ লাখ টাকা প্রতারণার পৃথক মামলা, ভাটারা থানায় ৫৬ লাখ টাকা প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাতের মামলা রয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ০৩০৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২০
পিএম/এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।